- 0
- 0
আশাশুনিতে তীব্র শীতে খালিয়ার বিধবা আম্বিয়া অসহায়

আমাদের দেখার কেউ নেই বাবা। তীব্র শীত অপেক্ষা করে পিতা হারা ছেলে মেয়েদের নিয়ে খাস সম্পত্তির উপর ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। আমাদের অবস্থা তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করছি বাবা। শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে এমনিভাবে আর্তনাদ করেন আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বিল খালিয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমীন গাজীর দ্বিতীয় স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন।
আম্বিয়া খাতুন জানান, আমার স্বামী রুহুল আমীন গাজী ১৭ বছর আগে মারা যায়। সে সময় থেকে আমিও আমার সতীন ছকিনা খাতুন ও ২ পুত্র এবং ৫ কন্যাকে নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছি, ৫ কন্যার বিবাহ দিয়েছি। স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিবারের সকল সদস্যরা এক একর খাস সম্পত্তির উপর বসবাস করে আছি এবং যথা সময় সরকারী রাজস্ব পরিশোধ করি। সম্প্রতি মুজিব বর্ষে সরকার ভুমিহীন দের ঘর দেওয়ার কথা এলাকায় প্রচার হলে আমার সতীন সখিনা আমার ছেলে মেয়েদের আড়াল করে সাংবাদিক ডেকে ছবি তুলে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বরং ছকিনার ছেলের পাকা ঘর নির্মানধীন রয়েছে।
আম্বিয়া আরও বলেন, স্বামী মরার পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা আমার ভাগ্যে জোটেনি। শীতে ইউনিয়নে অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলেও সেটি থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা। এখন রাস্তায় কাজ করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছি।
খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডল জানান, রুহুল আমীন গাজী মারা যাওয়ার পর তার পরিবার খুব অসহায় জীবন যাপন করে এসেছে। রাস্তায় কাজ করে এখন কোন রকমে সংসার চালাচ্ছে। এবার শীতে কম্বল এলে তাদের দেওয়া হবে।