মানহানির পাঁচ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পাঁচটি মানহানি মামলায় খালাস পেয়েছেন। আদালত এই রায় দিয়েছেন আজ মঙ্গলবার।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী জানান, কয়েক বছর আগে জনৈক এ বি সিদ্দিক এবং একজন সাংবাদিক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি আলাদা মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন। এসব মামলার অভিযোগ ছিল মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য।
বিএনপির সহ–আইনবিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বলেন, "অভিযোগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে নির্ধারিত শুনানির দিনে আদালতে উপস্থিত হননি। আইন অনুযায়ী, বাদী যদি পরপর কয়েকবার আদালতে উপস্থিত না হন, তাহলে মামলা খারিজ হয়ে যায়।"
খালাসের জন্য আদালতে পৃথক পৃথক আবেদন করা হয়েছিল, যা মঞ্জুর করা হয়েছে। এর ফলে খালেদা জিয়া পাঁচটি মামলায় সম্পূর্ণভাবে খালাস পেয়েছেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর এ বি সিদ্দিক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন, যেখানে অভিযোগ ছিল রাজাকার-আলবদর নেতাদের মন্ত্রী বানানো এবং তাদের বাড়ি-গাড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করার।
অন্য একটি মামলায়, ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট, গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা করেন।
২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এ বি সিদ্দিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।
২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সংখ্যা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছিল।
এ সব মামলা থেকে খালেদা জিয়ার খালাস পেয়ে আদালতের নির্দেশে আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠেছেন।