- 0
- 0
ধর্ষণের শিকার নারী গাইবান্ধার লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জেলহাজতে

সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলা গুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নিপিড়নের ঘটনা।
এসব ঘটনায় অপরাধিরা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করলেও নিত্য নতুন ঘটনা ঘটেই চলেছে।
জেলা পুলিশ ও প্রশাসনসহ আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা জেলা জুড়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় এবার ন্যাশনাল সার্ভিসে কর্মসূচীর জন্য প্রত্যয়ন নিতে ধর্ষণের শিকার নারী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল তাকে রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন ও ধর্ষণ করার ধারণকৃত ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে আবারও ধর্ষণের অভিযোগে একটি ধর্ষণ মামলায় পুলিশ গত ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধা সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল (৪৭) কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় নারী নির্যাতন সহিংসতা প্রতিরোধে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
মামলা সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকরির জন্য প্রত্যয়ন নিতে ধর্ষণের শিকার নারী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল তাকে রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় কৌশলে চেয়ারম্যান ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ
পরবর্তীতে ওই নারীকে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১১ নবেম্বর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর অনুপস্থিতে ধর্ষণের সময় আশেপাশের লোকজন টের পেলে চেয়ারম্যান বাদল পালিয়ে যায়। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, বুধবার ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: গাইবান্ধায় সেবা নিতে গিয়ে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার ইউপি চেয়ারম্যান
উল্লেখ্য, ওই চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল স্থানীয় লেংগা বাজার বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। ২০১৭ সালে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি দীর্ঘদিন কারাবাস করে। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে সে ধর্ষণের মামলা মিমাংসা করে মামলা থেকে রেহাই পায়। আবারো ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আদালতের মাধ্যমে অবশেষে আবার ঠিকানা হলো জেলহাজতে ।