- 0
- 0
খুলনায় ভুয়া অভিযোগের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

খুলনার রূপসায় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন বাদশার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ঘাটভোগ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবিন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৫ নভেম্বর দুপুরে রূপসা প্রেসক্লাবে ডোবা গ্রামের কতিপয় সমাজ বিরোধী ব্যক্তির হয়ে নিখিল মল্লিক সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। বরং সমাজ বিরোধী ওই চক্রের নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি ও আমার পরিবার আজ হুমকির মুখে।
সংবাদ সম্মেলনে নিখিল মল্লিক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন আমি নাকি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। আমি নাকি প্রতাশ কুমার বিশ্বাসের আইডি ব্যবহার করে ভাতা উত্তোলন করে আসছি। যা আদৌ সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে প্রতাশ কুমার বিশ্বাস পিতা বিনোদ বিহারী বিশ্বাস এর মুক্তিযোদ্ধা আইডি নং ০৭০৪১২৪২১১ ও মুক্তিবার্তা নং ০৪০২০১০০১২। আর আমার মুক্তিযোদ্ধা আইডি নং ০৪০৫০১০১১৩ ও মুক্তিবার্তা নং ০৪০২০১০০৭০ এবং মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ১১৪৪।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে আমি ও আমার ছেলে সমিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডোবা স্কুলের গাছ কেটে নেয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। এব্যাপারে আমাকে অহেতুক হয়রানীর লক্ষ্যে ওই চক্র উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করে। পরবর্তীতে তদন্তে তা মিথ্যা প্রমানিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাধন অধিকারীর সাথে সংবাদ সম্মেলনে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের নামে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।
তারমধ্যে ব্রজেন মজুমদার একটা হত্যা মামলার আসামী, বিএনপি নেতা গোবিন্দ বিশ্বাস মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামী, তাপস দাস শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী, সজল বৈরাগী আত্নহত্যা প্রচারণা, হত্যা ও মাদক মামলার আসামী, বিকাশ দাস সাবেক ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এই বিকাশ মাদক মামলার আসামীসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, নৌকা প্রতিকের উপর দাড়িয়ে প্রসাব করা ঘৃনিত মানষিকতার একদল বিএনপি কর্মী নিয়ে তার চলাচল। এছাড়া এরা প্রত্যেকে এক সময় সাধনের সাথে চরমপন্থী সর্বহারা দলের সক্রিয় সদস্য ছিলো।
তিনি বলেন, এই সাধন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজিসহ নানা প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চলেছে একদল যুবক। তার নেতৃত্বে ঘাটভোগ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল যোগে কতিপয় সন্ত্রাসী প্রতিনিয়ত জনসাধারণনের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি অব্যহত রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাধন অধিকারীর নেতৃত্বে ডোবা বাজারে মুদি দোকান লুট, আনন্দনগর গ্রামের কাঠের পুলে অগ্নিসংযোগ, পুটিমারী পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই রবিউলের উপর হামলা, নদী খনন কাজের ঠিকাদারদের মারপিট, ডোবা গ্রামের মায়রাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট চাঁদাদাবি করে কাজ বন্ধ ও পরবর্তীতে ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. সেলিম আহমেদ এর উপর হামলা, সম্প্রতি আলাইপুর পালেরবাজার সড়ক নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের নিকট চাঁদাদাবি ও আঃ রউফ শিকদারকে মারপিটসহ নানাবিধ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনার অধিকাংশ প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংশার মাধ্যমে ধামাচাপা পড়েছে। এছাড়া সাধন অধিকারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও দক্ষিণাঞ্চলের বড় মাদকের ডিলার বলেও উল্লেখ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন বাদশা, ডেপুটি কমান্ডার কাজী ইয়াহিয়া, আব্দুল মজিদ ফকির, বজলুর রশিদ আজাদ, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, সন্তোষ কুমার চিন্তাপাত্র, অলিয়ার রহমান জোয়ার্দার, মুনসুর বিশ্বাস, আব্দুল মালেক, আব্দুস সবুর মোল্লা ও আব্দুস সাত্তারসহ আরো অনেকে।