অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে সাংবাদিকসহ বিএনপি নেতারা হত্যা মামলা আসামী
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পুলিশের নির্যাতনে এক দোকানদার কারাভোগের হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশকে বাদ দিয়ে দেড় বছর পর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে তৃণমূল বিএনপি কর্মী সহ এক সাংবাদিককে এ মামলায় আসামি হয়েছে হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে বন্দর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারের সদস্য মোক্তার হোসেনসহ বিএনপির একাধিক নেতারা অভিযোগ করেন। বন্দর প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা মোক্তার হোসেন, বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা মাসুদ রানা ও যুবদল নেতা জাহিদ খন্দকারকে ধরতে পুলিশ তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এসময় ২ ভাইকে না পেয়ে তাদের ভাই ওয়াদুদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানার একটি জ্বালাও পোড়াও মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামি হিসাবে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ওয়াদুদ এক মাস কারাভোগের পর অসুস্থ্য অবস্থায় জামিন পায়।
পরে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপতালে ভর্তি করে তার পরিবার। হাসপাতালে সে মারা যান। এ মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র দেড় বছর পর আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা মাসুদ রানা তৎকালিন ৩ পুলিশকে বিবাদী করে বন্দর থানায় একটি এজাহার থানায় জমা দেয়। পরে বিএনপির অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ইন্ধনে মানবজমিনের সাংবাদিক নুরুজ্জামান ও তার ভগ্নিপতি মোক্তার হোসেনকে বিবাদী ও এবং পুলিশের নাম বাদ দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত ওয়াদুদের ছোট ভাই জাহিদ খন্দকার।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা আরো বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত এড. সাখাওয়াত-টিপু বলয়ের সাথে সাবেক এসপি এড. কালাম বলয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ কারনে সাখাওয়াত বলয়ের যুবদল নেতা জাহিদ খন্দকারকে দিয়ে এড. কালাম বলয়ের বিএনপি নেতা মোক্তার হোসেন ও সাংবাদিক নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২৮ আগষ্ট সাজানো মিথ্যা মামলা করে।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান বলেন, সরকার পতনের পর কিছু লোক লুটপাট ও দখলবাজিতে মেতে উঠে। এ বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে এ সাজানো মামলায় আসামী করা হয়েছে। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। সাংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, হোসেইন মুন্সী, মাসুদ পারভেজ, ফুয়াদ প্রধান, তাওলাদ হোসেন, ইব্রাহীম খলিল, ফারুক, সাখাওয়াত উল্লাহ ও সম্রাট হোসেন প্রমুখ।