আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ০৫/০২/২০২৫ ১১:৩৭এ এম
শীর্ষক হামলা! সাংবাদিক মিরনকে কুপিয়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা!
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে বাসার সামনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় তুলাতলী ফিলিংস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ হামলার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে মিরনকে
স্থানীয়রা মিরনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ তথ্যমতে, বরিশালে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
কে এই সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন?
জহিরুল ইসলাম মিরন কুয়াকাটার একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তিনি বাংলাভিশন টেলিভিশনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য। তার ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলায় সাংবাদিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
কীভাবে হলো এই নৃশংস হামলা?
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক মিরন ঢাকা থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে গাড়ি থেকে নেমে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তবে বাসার লোকজন কিংবা আশপাশের কেউ তাৎক্ষণিকভাবে কিছু টের পায়নি।
পুলিশ ইতোমধ্যে তুলাতলী ফিলিংস্টেশন এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি এবং খুব শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।"
নিন্দার ঝড় উঠেছে সাংবাদিক মহলে
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, "একজন সাংবাদিকের ওপর এমন নৃশংস হামলা নিন্দনীয়। আহত মিরনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার দুই হাত, মাথা ও মুখের নিচে গুরুতর জখম রয়েছে। বুকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাই।"
সাংবাদিক মহল ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
কেন এই হামলা?
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এই হামলা হতে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে সাংবাদিক মিরন বেশ কিছু সংবেদনশীল রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন, যা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের স্বার্থের বিপক্ষে গিয়েছিল। এ কারণেই তার ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি
সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ জনগণ দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় কুয়াকাটাসহ পুরো পটুয়াখালীতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।