বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ০৫/০২/২০২৫ ১১:০৪এ এম

সংবাদ প্রকাশের জেরে নীলফামারীতে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম!

সংবাদ প্রকাশের জেরে নীলফামারীতে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম!
নীলফামারীর ডিমলায় একটি অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় রেজোয়ান ইসলাম নামে এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘বার্তা বাজার’-এর নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

হামলার শিকার সাংবাদিক, হাসপাতালে ভর্তি

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কী ঘটেছিল?

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাউতারা ইউনিয়নের আকাশকুড়ি থেকে মতিরবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন একটি পাকা সড়কে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এই দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক রেজোয়ান ইসলাম ‘সরকারি প্রকল্পের নামে চলছে হরিলুট, তিন কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে অনিয়ম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত সাব-ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম দুলাল তাকে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেন।

পথে আটকিয়ে হামলা

মঙ্গলবার দুপুরে রেজোয়ান ইসলাম পেশাগত কাজে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাব-ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুলাল ও তার সহযোগীরা সাংবাদিক রেজোয়ানকে বেধড়ক মারধর করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা রেজোয়ানের পকেট থেকে ১৪ হাজার ৫৯০ টাকা এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলেন অভিযুক্ত

তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম দুলাল বলেন, “সাংবাদিক রেজোয়ান আমাকে রাজনৈতিকভাবে কটাক্ষ করেছেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে, তবে আমি তাকে মারিনি।”

পুলিশ বলছে কী?

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, “ঘটনাটি জানার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে সাংবাদিককে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কোথায়?

একজন সাংবাদিক যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তখন তাকে হামলার শিকার হতে হয়—এটি কি সাংবাদিকতার জন্য এক ভয়ঙ্কর বার্তা বহন করে না? ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?

এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও সচেতন নাগরিক সমাজ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ