আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ০২/০২/২০২৫ ০৯:০৩পি এম
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ: জুলাই আন্দোলনে আহতদের পক্ষে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের কঠোর প্রতিবাদ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে চলমান আন্দোলনরত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই দিনব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচী আয়োজনের পেছনে রয়েছে জুলাই মাসে আহত আন্দোলনকারীদের প্রতি সরকারের নিরবতা ও বৈষম্যমূলক চিকিৎসা ব্যবস্থা। আন্দোলনকারীরা দাবী জানাচ্ছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের পুনর্বাসন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সংশোধন করা হোক।
সকাল থেকে সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে চিকিৎসাধীন পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালের আহতরা। তারা তাদের আন্দোলন থেকে সরে গেলেও, দাবি আদায়ে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা দ্রুত সময়ে আমাদের সহযোদ্ধাদের জন্য ন্যায্য চিকিৎসা ও পুনর্বাসন চাই।"
তাদের মূল দাবি ছিল, আহতদের প্রতি বৈষম্য বন্ধ করা এবং চারটি ক্যাটাগরি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই ক্যাটাগরি সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং অসুস্থদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
সড়ক অবরোধের ফলস্বরূপ:
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকে, যা ব্যাপক যানজট সৃষ্টি করে। তবে, সন্ধ্যা ৬টার পর আন্দোলনকারীরা সড়ক ছাড়লে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনকারীরা মিরপুর সড়ক থেকে পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালে চলে যান এবং সেখানেই তাদের কর্মসূচী অব্যাহত রাখেন।
তাদের দাবির মধ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকার যেন তাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করে এবং কোনো ধরনের বৈষম্য না হয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
আন্দোলনকারীরা আরো জানান, তাদের প্রতিবাদ এখনো শেষ হয়নি। তারা যমুনা এলাকার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করার পরিকল্পনা করেছেন।
এছাড়া, আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, “আমরা চাই আমাদের আহত সহযোদ্ধাদের জন্য দ্রুত ও নিরপেক্ষ চিকিৎসা ব্যবস্থা, যাতে তাদের জীবন আবারও স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে।”
মহাসড়ক অবরোধের প্রভাব:
এ আন্দোলন পুরো রাজধানীতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। দিনের বেলা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পথচারীদের জন্য চরম ভোগান্তি তৈরি হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দৃঢ় অবস্থান এবং সরকারের প্রতি তাদের পক্ষ থেকে যে দাবি তুলে ধরা হয়েছে, তাতে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে।
এভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন চলতে থাকলে, জনমনে এক নতুন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে—এই আন্দোলন কি শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় করতে পারবে? সময়ই বলবে।