রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
Verified আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৯/০৮/২০২৪ ০২:২৬পি এম

‘এস আলমের পাচার করা টাকার অর্ধেকই নিয়েছেন রেহানা-জয়’

‘এস আলমের পাচার করা টাকার অর্ধেকই নিয়েছেন রেহানা-জয়’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন। সেখানে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার সময় এস আলম প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, পাচারের অর্ধেক টাকা শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে গেছে।

রিমান্ডে সালমান এফ রহমান আরও জানান, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা নতুন নতুন প্রকল্প বের করার জন্য চাপ দিতেন, যা বড় অঙ্কের কমিশনের কারণ হতো। সবকিছুই শেখ হাসিনার জানা সত্ত্বেও তিনি কখনও আপত্তি করেননি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এস আলমের মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হওয়া দেড় লাখ কোটি টাকার অর্ধেকই শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এসব অনিয়ম ঘটেছে, তবে কেউ এসব নিয়ে কথা বলার সাহস পায়নি। শুধু অর্থ পাচার নয়, দেশের ইস্টার্ন রিফাইনারি এবং চিনিকল দখলেও এস আলমের ব্যাপারে সবাই নীরব ছিলেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে থাকা সালমান এফ রহমান দাবি করেন, শেখ পরিবারের অতিলোভের কারণে দেশের অর্থনীতি আজ শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে। এতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু ব্যক্তি সহায়তা করতেন। শেখ হাসিনাকে বোঝাতে গিয়ে অনেকেই তার বিরাগভাজন হয়েছেন, কারণ তিনি নিজের সিদ্ধান্তে সব সময় অটল থাকতেন।

তদন্ত সূত্রে আরও জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে লুটপাটের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। নিজের পছন্দের মতো চেয়ারম্যান এবং এমডি নিয়োগ দিতেন। পছন্দ না হলে, নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে যোগদান করতে দিতেন না বা পদত্যাগে বাধ্য করতেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা সালমান এফ রহমানকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন, যা তিনি অসুস্থতার অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন। বিশেষ করে, ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ ইস্যুর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, যেখানে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে, ‘সুকুক’ বন্ডের মাধ্যমে সালমান এফ রহমান ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা তুলেছেন এবং ব্যাংকগুলোকে বন্ড কেনায় বাধ্য করেছেন। প্রথম দিকে ব্যাংকগুলো রাজি না হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করা হয়। তবে সালমান এফ রহমান বারবার নিজের অসুস্থতার কথা বলে প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ