বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২৭/০১/২০২৫ ১২:২৫পি এম

কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর

কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে বিদ্রোহী এম-২৩ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে, কঙ্গোর এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডিআর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে।

কঙ্গোতে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এম-২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণহানির খবর আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংঘর্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মনুসকোর দুই সদস্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকান অঞ্চলের সামরিক বাহিনীর আরও নয়জন সদস্য নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, নিহতদের মধ্যে সাতজন তাদের উন্নয়ন সম্প্রদায় (এসএডিসি) বাহিনীর সদস্য।

গোমা শহরে উত্তেজনা তুঙ্গে

উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা শহর, যেখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস, বর্তমানে বড় ধরনের সংঘাতের মুখোমুখি। এম-২৩ বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া ঠেকাতে সেনাবাহিনী ও শান্তিরক্ষীরা যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই শহরটি কেবল গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও নিরাপত্তা কেন্দ্রই নয়, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের একটি প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্রও। ফলে সংঘাত থামানোর প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘ মিশনে নিজেদের দক্ষতা ও সাহসিকতার প্রমাণ দিয়ে আসছেন। কঙ্গোর চলমান এই সংকটের মধ্যেও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের তৎপরতা প্রশংসিত হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি বাহিনী সবসময় বিশ্বমানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করে এসেছে। তাদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বারবার স্বীকৃতি পেয়েছে।

সতর্কতা ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

কঙ্গোতে পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেমন প্রশংসার দাবিদার, তেমনি বর্তমান সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াও অত্যাবশ্যক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ