আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৯/০১/২০২৫ ১১:০৪এ এম
চা খেতে ৩০০ টাকা! ফেসবুক ভিডিওর জেরে নাটোরের এসআই ক্লোজড
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিও থেকে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি এসআই আমিনুল ইসলামের ডেস্কে গিয়ে কিছু টাকা তুলে দেন। আমিনুল তাৎক্ষণিক সেই টাকা টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন। ভিডিওতে আরও শোনা যায়, সেবাপ্রার্থী বলছেন, "আমি ৩০০ টাকা উনাকে চা খেতে দিয়েছি।" তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আগে অন্য এক কর্মকর্তাকে ১,০০০ টাকা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও তথ্য প্রকাশ করেন ভিডিও ধারণকারী মামুন হোসেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে থানায় যান। সেখানে এসআই আমিনুল তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। মামুন অভিযোগ করেন, থানার ভেতরে অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনাটি তিনি ভিডিও করেন। এরপর, আবার ঘুষ দাবি করলে তিনি প্রতিবাদ করে থানা থেকে বের হয়ে আসেন।
মামুন আরও বলেন, "যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন, তাদের অনেক সময় কৌশলে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। এখনও যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী করবে?"
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান বলেন, "কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।"
পুলিশের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অনেকে এই ঘটনাকে সাধারণ মানুষের জন্য একটি দুঃখজনক বাস্তবতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শেষ কথা:
পুলিশের মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা জনআস্থায় আঘাত হানে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কাজে লিপ্ত না হয়।