বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম:
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ১৭/০১/২০২৫ ১১:৫৬এ এম

কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি নিষিদ্ধ: বাংলাদেশ থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত বিতর্কে উত্তাল

কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’ ছবি নিষিদ্ধ: বাংলাদেশ থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত বিতর্কে উত্তাল
বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অবশেষে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পাচ্ছে। ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করে কঙ্গনা ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পেলেও এটি নিয়ে বিতর্ক থামছে না।

বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ‘ইমার্জেন্সি’
ইন্দিরা গান্ধীর সময়কার ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরার জন্য ছবিটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই নিষেধাজ্ঞার কারণ দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা। ছবির বিষয়বস্তু নাকি দুই দেশের চলমান রাজনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাঞ্জাবে এসজিপিসির আপত্তি
ছবিটি মুক্তির আগেই শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) পাঞ্জাব রাজ্যে ছবিটি নিষিদ্ধ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত মানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। তাদের দাবি, ছবিতে ইতিহাস বিকৃত করে শিখ সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এসজিপিসি জানায়, ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াবে এবং তা রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশংসা, কিন্তু বিতর্ক অব্যাহত
ছবিটির একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটির প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন, "ভারতের ইতিহাসের কালো অধ্যায় সততার সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। সবাইকে এই ছবি দেখার অনুরোধ করছি।"

কঙ্গনার প্রথম পরিচালনা ও ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত
‘ইমার্জেন্সি’ ছবির জন্য কঙ্গনাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এমনকি ছবির বেশ কিছু দৃশ্য বাদ দিতে হয়েছে। এ অভিজ্ঞতার পর কঙ্গনা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক ছবি নির্মাণ করবেন না।

‘ইমার্জেন্সি’ শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়; এটি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরার প্রয়াস। কিন্তু একই সঙ্গে এটি বিতর্কের ঝড় তুলেছে, যা ছবির প্রাসঙ্গিকতা এবং পরিচালকের সাহসিকতার সাক্ষ্য দেয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ