MD.KHALED MOSHARRAF SHOHEL
প্রকাশ ২৮/০৫/২০২৩ ১১:১১পি এম

আমতলীতে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ , মাংস বিক্রেতা প্রতারক রিপন রাঢ়ীর কঠোর বিচার দাবী

আমতলীতে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ , মাংস বিক্রেতা  প্রতারক রিপন রাঢ়ীর কঠোর বিচার দাবী
জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা।। আমতলীতে অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী গরুর মাংস বিক্রেতা প্রতারক রিপন রাঢ়ীর কঠোর বিচার দাবী করেছেন।

জানাগেছে, উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের নান্টু হাওলাদারের একটি ষাড় বাছুর গরু রোগাক্রান্ত হয়ে ২৩ মে মারা যায়। গরুটিকে মাটিতে চাপা দেয়ার কথা বলে, পার্শ্ববর্তী ভায়লাবুনিয়া গ্রামের আলতাফ রাঢ়ীর ছেলে রিপন রাঢ়ী ভায়লাবুনিয়া গ্রামে নিয়ে যান। রিপন রাঢ়ী কৌশলে মৃত গরুটিকে জবাই করে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি ধরে মাংস বিক্রয় করেন। কমমূল্যে মাংস বিক্রি করায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়।

গ্রামবাসী কমমূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করার কারন জিজ্ঞেস করলে রিপন রাঢ়ী তাদের বলেন গরুর নারে প্যাচ পরায় ৫ হাজার টাকায় কিনছে তাই তিনি কম দামে বিক্রি করছেন। এলাকাবাসী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিপন রাঢ়ী মহিষডাঙ্গা গ্রামের নান্টু হাওলাদারের অসুস্থ হয়ে মরে যাওয়া গরুর মাংস এলাকায় নিয়ে বিক্রি করেছেন রিপন রাঢ়ী।

এবিষয়ে মৃত্যু গরুর প্রকৃত মালিক নান্টু হাওলাদার বলেন, আমার গরুটি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল পরে যখন গরুটি মারা যায় রিপন রাঢ়ী আমার কাছে এসে গরুটির চামড়া খুলে মাটিতে পুঁতে রাখবে এমন কথা বললে আমি গরুটি দিয়ে দেই। এখন শুনি রিপন রাঢ়ী গরুটি মাটিতে না পুতে মাংস কেজি হিসেবে বিক্রি করেছেন।

রিপন রাঢ়ীর বাবা আলতাফ রারী বলেন, গরুটি মৃত্যু ছিল কিনা এটি আমার জানা ছিল না।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মালাকার বলেন, মরা গরু মাংস বিক্রি করার কথা শুনে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে । যারা যারা মাংস কিনেছেন তাদেরকে মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গরুর মাংস বিক্রেতা রিপন রাঢ়ীকে আমরা সবাই খুজছি ওর সঠিক বিচার হওয়া দরকার। বর্তমানে রিপন রাঢ়ী পলাতক রয়েছে।

আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম রিপন রাঢ়ীকে খুজে পাওয়া যায়নি। সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জকে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ