বদলগাছীতে প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ
প্রেমের টানে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার হাপুনিয়া গ্রামের জান্নাতুন ফেরদৌস সিতল নামের এক নারী। ধর্মান্তরিত হওয়া সিতল আক্তার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার হাপুনিয়া গ্রামের মোঃ শাহিনুর হোসেনের মেয়ে। আর প্রেমিক ও স্বামী টনি কুমার মহন্ত একই গ্রামের অখিল মহন্তের পুত্র।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার হাপুনিয়া গ্রামের মেয়ে সিতল আক্তারের সাথে একই পাড়ার হিন্দু যুবক টনি মহন্তের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর এফিডেভিটের মাধ্যমে ধর্মান্তর ও বিয়ে হয় তাদের। সিতর আক্তার ধর্মান্তরিত হয়ে নিজের নাম রাখেন আরতী রাণী। এরপর নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহোত্তর ঘোষনা সম্পাদন করেন তারা। ২০শে মে মঙ্গলবার দুপুরে আরতি রাণী (সিতল আক্তার) সহ টনি মহন্তকে আটক করেছে বদলগাছী থানা পুলিশ ।আরতি রাণী নিজেকে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বদলগাছী থানার এসআই মেহেদী হাসান জানান, টনি মহন্তকে ওয়ারেন্ট মূলে জয়পুরহাট বিশ্বাস পাড়া থেকে আটক করা হয়েছে। ধর্মান্তরিত হওয়া ওই নারী এফিডেভিডে উল্লেখ করেন, আমি আমার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে কৃষ্ণ মতে ব্রাহ্মণ দ্বারা মন্ত্রপুত হইয়া আমার স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনা বা ভয়ভীতি ব্যতিরেখে ইসলাম (সুন্নী) ধর্ম ত্যাগ করিয়া হিন্দু (সনাতন) ধর্ম গ্রহন করিয়া ধর্মান্তরিত হইলাম। হিন্দু ধর্মীয় গীতা পাঠ করিয়া আমার পূর্বের নাম সিতল আক্তার বাতিল করিয়া আমার নতুন নাম আরতি রাণী রাখিলাম। ঘটনা অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, পুরোহিত দ্বারা মন্ত্রপুত হইয়া শঙ্খ সিদুর ধারণে ও গ্রহণে হিন্দু শাস্ত্রীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করিয়া পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আতিয়ার রহমান বলেন, টনি মহন্তের নামে থানায় অপহরণ মামলা হলে আসামী পালাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি। পরর্বতীতে আসামিকে পালাতক দেখিয়ে চার্জশিট কোর্টে পাঠানো হয়। আসামী কোর্টে আত্নসমর্পণ না করলে কোর্ট থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। ওয়ারেন্ট মূলে ছেলেমেয়েকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।