আমতলীতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, ২ টি মামলা দায়ের
জেলা প্রতিনিধি,বরগুনা।।
বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের সপ্তম শ্র্রেণির এক ছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমতলী উপজেলার চিলা এইচ,বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মো: আবুল সর্দার বাদী হয়ে বরগুনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছেন। একটিতে ২সন্তানের জনক প্রতিবেশী মো: ফারুক সিকদার ও তার স্ত্রী মোসা: জাকিয়া বেগম কে আসামী করা হয়েছে।
অপর মামলায় মো: ফারুক সিকদারের ছেলে মো: রিমন (১৮) ও রিমনের মা মোসা: জাকিয়া বেগম কে আসামী করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলা ২টি আমলে নিয়ে ওসি ডিবিকে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়ে ও ঘটনার বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আবুল সর্দারের আপন ভাই মো: বেল্লাল সরদারের ছেলে সামীম সরদার এ ঘটনার সাথে জড়িত, আবুল সর্দার তার আপন ভাইয়ের ছেলেকে বাঁচাতে প্রতিবেশীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন, এমন দাবী ফারুক সিকদারের পরিবারের ও এলাকাবাসীর।
উল্লেখ্য, ২৬/০৮/২০২২ তারিখে আবুল সরদারের বসত ঘর আগুন লেগে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় আবুল সরদার ১২ জনকে আসামী করে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আবুল সরদারের ঘর পুড়ে যাওয়ায় তার পরিবার নিয়ে তার আপন ভাই বেল্লাল সরদারের ঘরে উঠেন। সে ঘরে তার ভাইয়ের ছেলে সামীম সরদার ও একত্রে থাকাকালীন আবুলের মেয়ের সাথে অবৈধ সর্ম্পকের কারনে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয় বলে দাবী করেন ফারুক সিকদারের স্ত্রী জাকিয়া বেগম ও তার বড় ভাই।
এ বিষয়ে ঐ ছাত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে ছাত্রীর বাবা আবুল সরদার মেয়েকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে দেননি।
আবুল হেসেন বলেন, মামলা দিয়েছি কোর্ট বুঝবে আমি আমার মেয়েকে সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে দেব না।
কে হবে মেয়েটির গর্ভের সন্তানের পিতা, এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।