ROMANA ISLAM - (Comilla)
প্রকাশ ২৪/০৫/২০২৩ ০২:১৯পি এম

উড়োচিঠি

উড়োচিঠি
এক সময় আমি জীবন নিয়ে খুব বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম । আমার চার পাশে এমন কিছু মানুষ ছিল যারা প্রতি নিয়ত আমাকে কি করলাম ,কি খেলাম ,কেন সরকারি চাকরিজীবী ছেলে কে বিয়ে করলাম না ,শশুর বাড়ি থেকে কয় ভরি স্বর্ণ পেলাম,কেন নিজের কেনা জমি ভাইদের দিয়া দিলাম না এই টাইপ প্রশ্ন করে আমাকে বিষয়ে তুলছিলো। আমি একটু থমকে দাঁড়ালাম। কোনো লেখার মাঝে আপনাকে যেমন বুঝতে হবে কোথায় দাড়ি কম ফুল স্টপ দিতে হবে. তেমন জীবনের আপনাকে জানতে হবে কোথায় আপনার থামতে হবে।
আমাদের গড় আয়ু খুব কম মাত্র ৫০-৬০ অনেকেতো এই সময় টুকুও পায়না। এই ছোট জীবনের একটা খুব গুরুত্ব পূর্ণ সময়ে আপনাকে এমন কিছু বিরক্তি কর মানুষের মুখোমুখি হতে হবে যারা নিজের জীবনে আনহেপি আর আপনাকে সেই দিকে টানতে থাকবে ঠিক যেমন গরুর রশি ধরে রাখেন টানতে থাকে। আপনি যদি সাহস করে সেই রশি ছিরে বের হতে না পারেন তবে দেখবেন আপনার জীবনটা বিষাক্ত হয়ে গেছে। আর যে সব সময় ফ্যামেলি তে থাকে এমন না বেশির ভাগ সময় এরা হয় আগাছা টাইপ হয়তো কোনো কলিগ ,না হয় বন্ধু মহলের কেউ ,না হলে পাশের বাসার আন্টি টাইপ মানুষ ,কিন্তু আপনাকে ঘুম থেকে উঠে এগুলোকে দেখতেই হবে। জ্ঞানের সদকা হলো হলো মূর্খ মানুষ গুলোকে সহ্য করা। যাই হোক আমি তখন নিজের সিদ্ধান্তে ঠিক থাকতে পেরেছিলাম। নিজের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করলাম ,খুব বেশি আয়োজন করলাম না. আমার শশুর বাড়িতে আমাকে খুব বেশি কিছু দিতে বাঁধ করলাম না ,দেনমোহর তারা যা বলেছে সেটাই ছিল, আমরা কোনো যৌতুক দিলাম না। এতে লাভ যা হলো ওনাদের র আমাদের থেকে কোনো এক্সপেক্টেশন নাই। আমাদের তেমন কোনো চাহিদা নাই। সবাই খুশি। আমি আমার সেই অনাকাঙ্খিত মানুষ গুলোকে বিয়ে তে দাওয়াত না দিলেও তারা আসে হাজির দেখতে হবে তো, ঠিক কিছু দিন শুরু হলো তোমাকে ইটা দিলো না ওটা দিলো না। বাঁধ হয় সেই স্থান টেগ করলাম। আজ দুই বছর পরে আমার সেই অনাকাঙ্খিত তিন জন শুভাকাঙ্খীদের একজন যে কিনা বাড়িওয়ালার ছেলে দেখে বিয়ে করেছিল সে তার শাশুড়ি র স্বামী তাকে মারধর করে সেই বাড়ি থেকে বের করে দিসে। আর একজন আজ বউ এর সীকৃতি পেলো না। গোপনে একজনের দ্বিতীয় বও হয় আছে। আর তৃতীয় জন একটা বাঁচার জন্য হাহাকার করে যাচ্ছে তার সরকারি চাকরি করা স্বামী যে নিয়ে তাকে বাড়ি লিখে দিসিলো সে তাকে একটা বাচ্চা দিতে পারলো না। আমার এই লেখাটার উদ্যেশ্য হলো সম্পদ আপনার দরকার কিন্তু সম্পদের পিছনে মোহিত না হয়ে আপনার জীবনের সুখ খোঁজা উচিত। সম্পদের কাফারা হলো দুনিয়াবী অশান্তি তাই সম্পদের পিছনে এতটাও পাগল হওয়া উচিত না যে আপনি দুনিয়া ও আখিরাত দুই শান্তি নষ্ট করে ফেলেন। আল্লাহ যদি আপনাকে অনেক সম্পদ দিয়া দুনিয়াতেই বেস্ট করে রাখেন তাহলে আপনি আখিরাতের কথা ভুলে যাবেন। দুনিয়াতেই এই সম্পদের হিসাব রাখতে রাখে বেক্তিগত জীবন উপভোগ করতে পারবেন না। তাই যেটুকু হলে ভালো ভাবে চলা যায় সেটুকু নিয়ে সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করুন। অসুস্থ প্রতিযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন। এর যারা এমন অসুস্থ প্রতিযোগিতা করে তাদের থেকে দূরে থাকুন। ভালো থাকুন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ