বিদ্যানন্দ সম্পর্কে ঢাবির আইন বিভাগের ছাত্রের জবানবন্দি
২০১৫ সালে বিদ্যানন্দের কিছু কাজ দেখে ভাল লেগেছিল।শ্রম দিয়ে যুক্ত হওয়ার আশায় কয়েকদিন কাজ করি।কিন্তু তাদের অত্যাধিক আচার-অানুষ্টানিকতায় বিরক্ত হয়ে আর যাইনি।
১৬-১৭ সালের দিকে আমার স্কুলবন্ধু মংখি দেখলাম বেশ এক্টিভলি তাদের কাজ করছে।শুনলাম তার বোন জামাই হ্লাতু সি নাকি তার দাদার জমিতে একটা "সম্প্রীতি অনাথ আশ্রম" নামে হোস্টেল করার জন্য পাঁচ একর জায়গা দান/হেবা করে দিছে।দানপত্র দলিল করে একেবারে জমিতে দখলও দিয়ে দেয় যাকে আইনের ভাষায় ইরিভোকেবল বা অপ্রত্যাহারযোগ্য বলে।অর্থাৎ দলিল করে কাউকে দানকৃত সম্পত্তিতে যদি দখল দিয়ে দেন তাহলে কোনভাবে আপনি তা ফেরত নিতে পারবেন না বা দাতাকে উচ্ছেদ করতে পারবেন না।হেবা দুই প্রকার।তার মাঝে হেবা বিল শার্তিল ইওয়াজ একটা যার অর্থ এরকম যে আপনি সম্পত্তিটা গ্রহিতাকে দিয়ে দিবেন কিন্তু কোন টাকা বা বিনিময় নিবেন না।তবে,এর বিনিময় হিসেবে গ্রহীতা আপনার প্রদত্ত কোন শর্ত পালন করবে।এই ক্ষেত্রে দাতাপক্ষ(হ্লাতু সি)র শর্ত ছিল যে সম্পত্তি দেওয়ার পরে ঐখানে তার দাদুর নামে একটা ভবন করবে।মংখির দুলা ভাই হ্লাতু সি হেবা টা শার্তিল ইওয়াজ করলেও শর্তের ব্যাপারে কোন আলাদা চুক্তি করে নাই।দানপত্র করে দখল দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিদ্যানন্দ কতৃপক্ষ হ্লাতু সি কে বেশ তোয়াজ-তোশামুদ করছিল।কিন্তু,দখল পাওয়ার এক বছর পর থেকে হ্লাতু সি কে অপদস্থ করা শুরু করে।
করোনায় আমি দীর্ঘদিন বাড়ীতে ছিলাম।সেই সুবাদে এরশাদ-বাপ্পি নামের দুই ছোটভাইয়ের অনুরোধে বিদ্যানন্দে ক্লাস নেয়া শুরু করি।হ্লাতু সি আমারও দুলাভাই হয়।ঐখানে ক্লাস নেয়া-স্বেচ্চাশ্রম দেয়াকালীন হ্লাতু সির সাথে আমার ভাল একটা রসায়ন শুরু হয়।
সেই সময়ে আরেক স্বেচ্ছাসেবী মেহজাবিন সুচি নামের চবির এক আপুর সাথে পরিচয় হয়।সুচি দিন রাত এক করে সেখানে শ্রম দিচ্ছিল। যার কারনে সুচিকে পোলাপান খুবই পছন্দ করা শুরু করে এবং সম্প্রীতি অনাথালায়ে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আসা শুরু করছিল।একসময় হেডকোয়ার্টার থেকে সুচিকে বাদ দেয়ার চিন্তা উঠলে সুচি ইস্তফা দেয়।আমি সুচিকে ইস্তফা দেয়ার কারন জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন"এটা একটা ভন্ডামির মহারাজত্ব"
তখন থেকেই হ্লাতু সি কে আমি বিদ্যানন্দের কার্যক্রম সম্পর্কে সতর্ক করি।
ছয়মাস পরে দাদা আমাকে ম্যাসেনজারে নক করে বলে যে
Mohi, আমাকে যেকোনো সময় ওরা আক্রমণ করতে পারে বা বড়ো কোন মামলায় ফাঁসাতে পারে।
আমার করণীয় কি? তোমার কোন পরামর্শ আছে?
তখন আমি দাদাকে জিডি করা সহ সাবধানে থাকতে বলি এবং তাদের উপজাতি নেতৃবৃন্দকে জানাতে বলি।শেষ পর্যন্ত দাদাকে খুব ফোর্সফুলি বের করে দেয়া হয়।এভাবেই হাতছাড়া হয়ে যায় হ্লাতু সির চাষাবাদের পাঁচ একর জমি।
এই ঘটনার পর থেকেই আমি বিদ্যানন্দের প্রমোশন দেখলেই প্রতিবাদ করেছি।শুধু সম্প্রীতি নয় তাদের রুমা-আলিকদম-থানছি-নাইক্ষংছড়ি সহ সারাদেশে যে জমিগুলো আছে সবগুলো এভাবে নেওয়া।সবগুলো অপদখলীয়।
বিদ্যানন্দের এই ভণ্ডামি এক বছর আগে থেকেই সন্দেহে রেখেছি।সাম্প্রতিক যখন বোম্বাই ব্যারিস্টার নিঝুম জোরেশোরে বিদ্যানন্দ কে প্রমোট করা শুরু করে তখন থেকে আরো বেশী সন্দেহ হয়।এই নিঝুম যেখানে হাত দিবে সেটা নষ্ট করবে।
বিদ্যানন্দ পুরো দেশ বেচে দিলেও জনসাধারণ এতটা রিয়েক্ট করতো না।কিন্তু নিঝুম যুক্ত হওয়াতে আমজনতা তাদের রোষ ঝাড়তেছে।
অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়ে বলতাসে যাতে দেশবাসী বিদ্যানন্দ কে বয়কট করে।আমি সেদিকে যাবো না।আমি বলবো বিদ্যানন্দ যাতে স্ট্যাটাস দিয়ে বলে যে ভাইসব,"ক্ষোভ থাকলে তা নিঝুমের উপর ঝাড়ুন-বিদ্যানন্দের উপরে সেই ঝাল মিটায়েন না!
বাঙ্গালী বেশ ইমোশনাল জাতী।এরা পায়ে ধরতে ধরতে চুলেও ধরতে পারে।বাঙ্গালী কাউকে মাথায় তুললে আসমান পর্যন্ত তুলে।একবার কারো উপরে ক্ষেপলে তাকে শেষ করেই ছাড়ে।
নিঝুম ব্যারিস্টার বিদ্যানন্দ কে যতই ডিফেন্ড করবে বাঙ্গালী ততই ক্ষ্যাপবে।তাই,বিদ্যানন্দের উচিত নিঝুমকে এটা বলে দেয়া যাতে সে আর ছাগলামী না করে।কারন,নিঝুম বিদ্যানন্দের কোন স্টেকহোল্ডার নয়।।এই গান্ডুর কুযুক্তি গুলো দেওয়া বন্ধ করলে জনরোষ কমে যাবে।ততদিনে আরেক ইস্যু এসে গেলে পাবলিক কনসেন্ট্রেশন অন্য দিকে চলে যাবে।