MD.KHALED MOSHARRAF SHOHEL
প্রকাশ ১৫/০৩/২০২৩ ০৭:৪৬পি এম

তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা

তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা
জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা ।।
বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি মো. রেজবিউল কবির জোমাদ্দার (৪২) বিরুদ্ধে বরগুনা জেলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তালতলী উপজেলার তালতলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ছগির হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. নাহিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই মামলায় আরো বিবাধীরা হলেন, একই উপজেলার তুলাতলী এলাকার মরহুম আ. সালামের ছেলে আবুল (৪৫) এবং তালতলীপাড়ার মরহুম গগণ জোমাদ্দারের ছেলে ইউনুচ জোমাদ্দার (৪৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে মামলার বাদী মো. ছগির হোসেনের ভোগদখলীয় জমিতে স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন মামলায় উল্লেখিত বিবাধীরা। ওই সময় তিনি জমি থেকে মাটি কাটতে বাঁধা দিলে বিবাধীরা লোকজন নিয়ে মো. ছগির হোসেনকে দেশত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করেন। অন্যথায় তাকে মেরে পাঙ্গাশ মাছের ঘেরে ফেলে মাছকে খাওয়ানোর হুমকি দেন। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল ছেড়ে বিবাধীরা চলে যান।
মামলার বাদী মো. ছগির হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বারবার চাপ দিচ্ছেন বিবাধীরা। তারা আমার বাড়িঘর এবং জমি দখল করে নেওয়ার অনবরত হুমকি দিচ্ছে। বিবাধীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই মামলা করার পর তাদের ভয়ে আমি আত্মগোপনে আছি।
মামলার বিষয়ে তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি মো. রেজবিউল কবির জোমাদ্দার বলেন, মামলার বিষয়ে আমি অবগত নই, তবে দুপুরে কেউ একজন আমাকে ফোন করে বলেছিল। শত্রুতামূলক যে কেহই আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। আমার বিরুদ্ধে যে মামলাই হোক না কেন তদন্ত করলে তার সত্যতা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।
ওই মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডঃ খাইরুল ইসলাম বলেন, শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ