আমতলীতে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠান আলাদাভাবে পালনের হুমকি মুক্তিযোদ্ধাদের
জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা ।।
বরগুনার আমতলীতে মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেকিম সুপারভাইজার মো. সেলিম মাহমুদকে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সরকারি কোনো কর্মসূচির দায়িত্বে রাখা হলে তাহলে প্রশাসনের সকল অনুষ্ঠান বর্জন ও আলাদাভাবে কর্মসূচি পালনের হুমকি দেন উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিসভার আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মজিবুর রহমান, পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী- তালতলী সার্কেল) মো. রুহুল আমিন, ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান, জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান, সরকারি দপ্তর প্রধান ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শুরুর এক পর্যায়ে আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এ কে এম সামমুদ্দিন শানু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেকিম সুপারভাইজার সেলিম মাহমুদকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তাকে গণহত্যা এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে নেওয়া কর্মসূচির সাব কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত না করতে অনুরোধ করেন। তারপরও যদি তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসনের সকল অনুষ্ঠান বর্জন ও প্রয়োজনে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালনের হুমকি দেন আমতলীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এ কে এম সামসুদ্দিন শানু বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমতলীতে চাকরি করা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেকিম সুপারভাইজার সেলিম মাহমুদ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী। তিনি বিভিন্ন সময় মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তিমূলক কথাবার্তা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো কাজে তার দপ্তরে গেলে তিনি তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অবমূল্যায়ন করেন। এ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেকিম সুপারভাইজার মো. সেলিম মাহমুদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী নই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. এ কে এম সামসুদ্দিন শানুর দেওয়া বক্তব্য আমি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।