প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা বদলে মাদক ব্যবসা
প্লাস্টিক সার্জারি করে কোরিয়ান হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে ব্যাংককে মাদক ব্যবসা চালানো থাই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে থাইল্যান্ড পুলিশ।
গত সপ্তাহে থাই তদন্তকারী পুলিশ ব্যাংককের শহরতলীতে একটি মাদক চোরাকারবারীর আস্তানায় অভিযান চালিয়ে কয়েক মাস ধরে পলাতক থাকা জিমিন সিওং নামক থাই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে থাই পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তির আসল নাম সাহারত সাওয়ানজেং। ২৫ বছর বয়সী এই অপরাধী মূলত একজন থাই নাগরিক এবং ব্যাংককের বাসিন্দা। সে তার নাম পরিবর্তন করে, চুল কেটে এবং একাধিক প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তার চেহারা পরিবর্তিত করে নিজেকে কোরিয়ান হিসেবে পরিচয় দিত।
পুলিশের দেওয়া অপরাধীর বিভিন্ন সময়ের ছবিগুলিতে তার চেহারার নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
জিমিন সিওংকে গত বছর থেকে থাইল্যান্ডে এক্সট্যাসি বা মলি নামে পরিচিত এক মাদকের ২৫০০ গ্রাম এর ২৯০টি ট্যাবলেট আমদানির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। সে ব্যাংকক এবং শহরের আশেপাশের এলাকায় মাদক ছড়ানোর প্রধান হোতা।
জিমিন সিওং নিখোঁজ থাকা অবস্থায় পুলিশ একটি কোরিয়ান ডিলারের ড্রাগ সরবরাহের গুজব শুনতে পায় এবং তদন্ত শুরু করে।
অভিযানের ছবিতে দেখা যায়, একটি অ্যাপার্টমেন্টে জিমিন সিওংকে পুলিশ ঘিরে রেখেছে এবং তার হাত আটকে রাখা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে ক্যাটাগরি ১ ড্রাগ আমদানি ও অবৈধভাবে বিতরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে, উভয় অপরাধেরই সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
২০১৭ সালে দেশটি একটি বড় সংশোধনীর মাধ্যমে মাদক বিক্রির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তন করেছে।
বেশিরভাগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মতো, থাইল্যান্ডেও মাদকের ব্যবহার এবং পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকারের তরফ থেকে নিয়ম শিথিল করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।