অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে প্রকৃতির মাঝে এসেছে হেমন্ত
প্রকৃতিতে অমল ধবল হাওয়া আর স্বচ্ছ আকাশের থোকা থোকা মেঘ সাথে নিয়েই বিদায় নিল শরৎকাল। সবুজ ধানের ক্ষেতে বিন্দু বিন্দু রূপালি শিশিরের ওপর ভোরের সোনালি রোদের মনোরম সৌন্দর্য দেখেই মন বলে এসেছে হেমন্ত ।
হেমন্ত যেনো আমাদের কে একটু বেশিই বিমুগ্ধ করে। সকালে ধানগাছের ডগায় যে শিশির জমে থাকে তা হেমন্তের মায়াবী রূপের এক ঝলক সৌন্দর্যেরই পূর্বাভাস জানান দেয়। সকালের প্রথম রোদের বর্ণচ্ছটায় গাছের পাতাগুলো যেন হেসে ওঠে। দৃষ্টিসীমা যত দূর যায়, দেখা যায়, আলোকোজ্জ্বল অপূর্ব একটি সকাল তার অভাবনীয় সৌন্দর্য নিয়ে যেন অপেক্ষমান। গাছের নরম-কচি পাতাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি রোদ আর সুনীল আকাশ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে।
হেমন্তের রাতে মেঘমুক্ত আকাশে ফালি ফালি জোছনার আলো অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই ঠিকরে পড়ে। কালের চাকায় ভর করে আবারো আমাদের মাঝে সমাগত প্রিয় হেমন্তকাল। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দু'মাস নিয়ে হেমন্তকাল। হেমন্ত মানেই শিশিরস্নাত প্রহর। শরতের কাশফুল মাটিতে নুইয়ে পড়ার পরপরই হেমন্তের আগমন ঘটে। এর পরে আসে শীত, তাই হেমন্তকে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তে সকালবেলা আবছা কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারিদিকের মাঠঘাট।
সকালের প্রথম রোদের বর্ণচ্ছটায় গাছের পাতাগুলো খিলখিল করে হেসে ওঠে। দৃষ্টিসীমা যতদূর গিয়ে পৌঁছে দেখা যায়, আলোকজ্জ্বল অপূর্ব একটি সকাল তার অভাবনীয় সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষমান। গাছেদের নরম-কচি পাতাগুলোর ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি রোদ আর সুনীল আকাশ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। হেমন্তের রাতে মেঘমুক্ত আকাশে জোৎস্নার আলো যেন অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি ঠিকরে পড়ে।
আনন্দ নগর (ছবি)
জহুরুল হাসান আদিল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া