বাঘারপাড়ার সোনালী ব্যাংক নারিকেলবাড়িয়া শাখার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে শিক্ষক সহ গ্রাহক হয়রানির ব্যাপক অ
বাঘারপাড়ার সোনালী ব্যাংক নারিকলবাড়ীয়া শাখার ম্যানজারের বিরুদ্ধে শিক্ষক সহ গ্রাহক হয়রানির ব্যপক অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘারপাড়া (যশোর) : যশোরের বাঘারপাড়ায় সোনালী ব্যাংক নারিকলবাড়ীয়া বাজার শাখার ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) কেএম শাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষক থেকে শুরু করে কৃষকরা বাদ যাচ্ছে না তার হয়রানি থেকে। এমনকি ব্যাংক হিসাব অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলছেন অনেকে।
হয়রানির শিকার আগড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেছেন, বিদ্যালয়র ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষে এডহক কমিটি গঠিত হয়। নিয়মানুসারে বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের পরিচালনা কাঠামো একই সাথে পরিবর্তন করতে হয়। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে। সে মোতাবেক নির্দিষ্ট সময় কমিটি পরিবর্তনের সত্যায়িত রেজুলশনের ফটোকপি নিয়ে ব্যাংকে গেলে ম্যানজার গ্রহণ না করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সত্যায়িত রেজুলশন কপি আনতে বলেন।
এ বিষয়ে একাধিকবার অনুরোধ করে কোন প্রতিকার পাননি তিনি।
এমনকি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাষ্টার ইমদাদ হোসেনের কথাও তিনি (ম্যানেজার) শোনেননি।
এ প্রধান শিক্ষক আরো জানান, তিনি ওই শাখা থেকে হিসাব অন্য শাখায় নিয়ে যাবেন।
সম্প্রতি সময় উপজেলার জয়পুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার নারিকলবাড়ীয়া শাখা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধের জন্য দুই কিস্তি বাকী ছিল। এমন সময় ঐ কৃষকের পরিবারের বিশেষ কাজের জন্য বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজার শাখা থেকে ১লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নারিকেলবাড়ীয়া সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা রাখেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি টাকা তুলতে গেলে পুরাতন ঋণের টাকা কেটে ৭৪ হাজার টাকা দেন। এর ফলে পরিবারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছেে।
এ বিষয়ে (নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি বাবলু সাহা’র ) অনুরোধও উক্ত ম্যানেজার রাখেননি।
ম্যানজারের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নারিকেলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাষ্টার এমদাদ হোসেন অভিযোগ করেন , দশ মাস হল ম্যানেজার শাহিদুজ্জামান এ শাখায় এসেছেন। তিনি এসেই গ্রাহক হয়রানি শুরু করেছেন। ৩০ বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা এখন ভুল মনে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্কুলটি পাবলিক পরীক্ষার কেদ্র। এই পাবলিক পরীক্ষার হিসাব পরিচালনার জন্য একটি ব্যাংক হিসাব খোলা আছে, যা পরীক্ষার সময় লেনদেন হয়ে থাকে। কয়েকদিন আগে আমি এ হিসাবে টাকা জমা রাখি। কিন্তু কিছুদিন পরে ম্যানেজার বলেন, ‘এক বছর লেনদেন না করায় আপনার হিসাবটা বন্ধ হয়ে গেছে’।
শুধু এই না, তিনি আসার পর থেকেই গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলেছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানজার কেএম শাহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ‘যা কিছু করা হয়েছে, ব্যাংকর নিয়ম অনুযায়ি করা হয়েছে।’
০৫/০৬/২০২২