রাজনীতির হাতেখড়ি ও সাহস, শক্তি যোগানের প্রথম ও প্রধান ধাপ হলো ছাত্র রাজনীতি।এই ছাত্র রাজনীতিতে আমাদের একেকজনের ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় পদচারণ হয়।তবে এক্ষেত্রে আবেগের বসে রাজনীতিতে আসা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পরে। আবেগের বসে এই ময়দানে এসে কিছুদিন চলাফেরা করে।একটা সময় উপলব্ধি করে এই পথ তার জন্য নয়।মাঝপথে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নদীর মাঝে পরে কোন কূল খুঁজে না পাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায়।কারন রাজনৈতিক জীবন একটি অস্বাভাবিক জীবন।আবারো বলছি,একটি অস্বাভাবিক জীবন।অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।কোন ছেলে যখন অনিশ্চিত জীবন থেকে নিশ্চিত জীবনে ফিরে যেতে চায় তখন এই রাজনীতি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।আবেগে বসে নয় বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝে রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানাই।
রাজনীতি খারাপ নয়।কারন এই রাজনীতির উপর ভর করেই এই দেশের প্রতিটা গলি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ জায়গা গুলো নিয়ন্ত্রিত হয়।তাই মেধাবী,প্রজ্ঞাবান ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার সৎ সাহসীদের প্রয়োজন।রাজনীতি বুঝে,শুনে,খুটিনাটি জেনে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণ করবে এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবে তখনই কেবল নিজেকে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া যেতে পারে।
আবেগ দিয়ে প্রেম হয় রাজনীতি নয়।তবে রাজনীতিতে আবেগ থাকলে সেটা দলের গঠনতন্ত্র ও দলের উপর থাকা উচিত। কোন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক আবেগ থাকা উচিত নয়।
রাজনীতিতে নিজের ক্যারিয়ার নিজের গড়িয়ে তুলতে হয়।অন্যের গড়ে দেওয়া ক্যারিয়ারের উপর ভর করে টিকে থাকলে সেটা অল্প সময়ে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।যুগে যুগে প্রমাণিত।কাজ করে যোগ্যতা অর্জন ও নিজেকে শক্তিশালী করে দায়িত্বে আসা বুদ্ধিমানের কাজ।যাদের দীর্ঘস্থায়ী প্লান থাকে রাজনীতি নিয়ে।
জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে হলে ছাত্র রাজনীতির প্রভাব থাকতে হয়।স্টুডেন্ট পলিটিক্স বা ছাত্র রাজনীতি না করা মানুষের সাথে হেঁটে ও রাজনীতি করে মজা নেই।
ফিরে আসুক ছাত্র রাজনীতির সোনালী অতীত।
হানাহানি,মারামারি, রক্তে হলি খেলা বন্ধ হোক।
৫২ থেকে ১৮ এর মত প্রতিটি আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা থাকুক শিক্ষার্থীরা।
আবু নাঈম।
সাধারণ সম্পাদক,
ছাত্র অধিকার পরিষদ,বরিশাল মহানগর।