রাস্তার বেহাল দশার অবসান জগতবের ইউনিয়নের এলাকাবাসী !
প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। দ্রুত ও সহজতর করতেই এই পথ পেরিয়ে যেতে হয় বিভিন্ন শিক্ষালয়, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও দূর গন্তব্যে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত সড়কটি আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে একেবারে বঞ্চিত। এই চিত্র সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার জগতবের ইউনিয়নের। গোটা ইউনিয়নে উন্নয়নের বেশকিছু দৃশ্য চোখে পড়লেও ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর ক্ষোভ বলে দেয় তাদের দুর্ভোগ এখন কতটা চরমে। কেনোনা এখানে শুধু রাস্তা নয় একই পথ ধরেই দেখা মিলবে ভাঙা ব্রিজ নামে পরিচিত আর এক দুর্ভোগ চিত্রের। যে ব্রিজটি নির্মাণের বেশ কিছুদিন পর ২০১৭ সালের বন্যায় এর বেশিরভাগ অংশ তলিয়ে যায়। ফলে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে সময় ও অর্থ দু’টোই ব্যয় হয়। এতে করে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বর্ষাকালে চরম বিপাকে পড়তে হয় এখানকার মানুষের। শুধু যে একটি ব্রিজ আর সড়কের চিত্র এমন, তা কিন্তু নয়, ইউনিয়নের আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ব্রিজের চিত্র প্রায় একই। এলাকার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, ব্রিজ আর রাস্তার কাজ কয়েক বছর থেকে হবে হবে করে বলে কিন্তু কাজ আর হয় না। আবার কেউ কেউ বলেন, এই এলাকা নাকি জামায়াত-বিএনপির এলাকা তাই কাজ হয়না। পত্রিকায় সংবাদ হলে তখন একটু লোক দেখানো মাপ যোগ দেখিয়ে আর কারো দেখা মেলেনা। তাই ব্রিজটি এখন বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় যুবকেরা। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, সাবেক চেয়ারম্যানের সদিচ্ছার অভাব ছিল। চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমপি পর্যন্ত তিনি অবগত করেছেন, কিন্তু কোনো সুফল আজ পর্যন্ত জনগণ পায়নি। এছাড়াও বরাদ্দ হওয়ার পর সেটি আবার বাতিলও হয়ে যায় এমন কথাও জানান তিনি। তাই নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান নবিবর রহমান তার প্রতিশ্রুতি পালনে ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছেন। শেষবার চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বললেও আদৌ কাজ শুরুই হয়নি। ঠিক একই তথ্য পাটগ্রাম উপজেলা সার্ভেয়ার আমজাদ হোসেন দিলেও বাস্তবে কথা ও কাজের মিল পাওয়া যায়নি। তবে ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, আগের চেয়ারম্যান এমপির সঙ্গে এবিষয়ে ভালোভাবে বসে নাই। আমি বসে নেই, ইউনিয়নের সকল অসম্পূর্ণ কাজ দ্রুত শেষ করার বেপারে সজাগ রয়েছি। বিশেষ করে ওই ব্রিজ ও রাস্তার কাজের বিষয়ে আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।