MD.KHALED MOSHARRAF SHOHEL
প্রকাশ ১৫/০৭/২০২২ ০৪:১৬পি এম

বরগুনার পাথরঘাটায় সালিশ ডেকে মাছ ব্যবসায়ীকে পেটালেন এমপি রিমন

বরগুনার পাথরঘাটায় সালিশ ডেকে মাছ ব্যবসায়ীকে পেটালেন এমপি রিমন
জেলা প্রতিনিধি,বরগুনা।।
বরগুনার পাথরঘাটায় এবার এক মাছ ব্যবসায়ীকে চড়থাপ্পড় মেরেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন। ফোরকান মিয়া নামের ওই মাছ ব্যবসায়ী বাকিতে সিগারেট না পেয়ে মারধর করেছিলেন এক দোকানিকে। এ ঘটনায় নালিশ পেয়ে সালিশ ডাকেন এমপি রিমন। এরপর শাস্তি হিসেবে নিজেই চড়থাপ্পড় দেন অভিযুক্ত ফোরকানকে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা বাজার-সংলগ্ন স্লুইজঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিমন বরগুনা-২ (বেতাগী-বামনা-পাথরঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য।
ভুক্তভোগী দোকানির নাম মো. সোহেল। তাঁর বাড়ি উপজেলার হরিণঘাটা বাজার-সংলগ্ন এলাকায়। ঝিনতলা গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি নিজ বাড়ির পাশে মুদি ও মনিহারির দোকান রয়েছে তাঁর। তাঁকে মারধরে অভিযুক্ত ফোরকানের বাড়িও একই এলাকায়।
ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, তিনি বরগুনার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সুলতানা নাদিরার সমর্থক। এমপি নাদিরার সমর্থক হওয়ার কারণেই তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে মেরেছেন এমপি রিমন। এমপি নাদিরার বাড়িও পাথরঘাটায়।
এর আগেও স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, একজন নারী আইনজীবীসহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে এমপি রিমনের বিরুদ্ধে। হরিণঘাটা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল হাওলাদার জানান, সম্প্রতি সোহেলের দোকানে গভীর রাতে বাকিতে সিগারেট নিতে আসেন ফোরকান। সোহেল বাকিতে না দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরদিন ফোরকান সহযোগীদের নিয়ে সোহেলের দোকান ভাংচুর করেন। ওই সময় বিষয়টি নিয়ে এমপি রিমনের কাছে নালিশ জানালে তিনি নিজ হাতে বিচারের আশ্বাস দেন। শনিবার আসর নামাজের পর হরিণঘাটা বাজার-সংলগ্ন স্লুইজঘাট এলাকায় সালিশ ডাকেন। সালিশে উভয় পক্ষের কথা শুনে ফোরকানকে মারধর করেন রিমন ও তাঁর সহযোগীরা।
সোহেল বলেন, বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ফোরকান আমাকে ও আমার মা-বাবাকে মারধর এবং দোকান ভাংচুর করেছেন। বিষয়টি এমপির কাছে জানালে তিনি শনিবার বিকেলে বিচার করেন।
এমপি রিমন মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, একজন মসজিদের ইমামের শরীরে হাত দিয়ে ফোরকান গুরুতর অন্যায় করেছে। মুসল্লিদের চাপের মুখে এই সালিশ করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, সামাজিকভাবে যতটুকু পারি, ততটুকু সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্যা সমাধনের চেষ্টা করি। তবে পাথরঘাটায় যা ঘটে, তার চেয়ে বেশি রটায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. আবুল বাসার জানান, হরিণঘাটায় এমপি রিমনের চড়থাপ্পড় দেওয়ার কথা তিনি জেনেছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ