nazmul huda parvez - (Kurigram)
প্রকাশ ১৩/০৫/২০২২ ০৭:৫৭এ এম

চিলমারীতে পাওনা টাকা চাওয়াতে গরম তেলে ঝলসে দেয়া হলো এক টাইলস মিস্ত্রীকে

চিলমারীতে পাওনা টাকা চাওয়াতে গরম তেলে ঝলসে দেয়া হলো এক টাইলস মিস্ত্রীকে
নাজমুল হুদা পারভেজ (চিলমারী) কুড়িগ্রামঃ-
পাওনা টাক চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছঁড়ে দেয়া পুরি ভাজার গরম সোয়াবিন তেলে ঝলসে গেল পাওনাদার।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাজারে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে।
আহত সাদ্দাম হোসেনের(৩০) বড় ভাই টাইলস মিস্ত্রি মোঃ জীবন মিঞা এ প্রতিনিধিকে জানান, বেশ কিছুদিন পূর্বে জোড়গাছ বাধে বসবাসকারী ক্ষুদ্র চা ব্যবসায়ী নুর আমিনের ছেলে সেলিম (২৫) আহত সাদ্দামের নিকট থেকে দু’শত টাকা ধার নেই। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও উক্তটাকা সে পরিশোধ করছিল না। আনুমানিক ৭ দিন পূর্বে উক্ত পাওনা টাকা চাইতে গেলে সেলিম ও সাদ্দামের মাঝে বচসা হয়। এর জের ধরে বুধবার রাতে জোড়গাছ বাজারে সেলিমের অপর এক চাচা সিদ্দিকের দোকানের সামনে সাদ্দাম ও তার চাচাত ভাই আকাশ (২৩) এসে সাদ্দামকে বলে তারা সাদ্দামের পাওনা টাকা ফেরৎ দেবে না। এ নিয়ে সাদ্দামও তার বড় ভাই জীবন এর সাথে সেলিম ও তার চাচাত ভাই আকাশ এর মাঝে পুনরায় ঝগড়া বাধলে দোকানদার সিদ্দিক তা ভেঙ্গে দেয় এবং সকলকে তার দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে জীবন নিজ বাড়ি থেকে জোড়গাছ বাজারে আসে এবং আকাশ ও সেলিমের দোকানের সামন দিয়ে যাবার সময় আকাশ এসে জীবনের পথ আগলিয়ে তার বাঁ পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এবং তাকে সেলিমসহ এলোপাথাড়ি শারীরিক প্রহার করতে থাকলে জীবন মোবাইলে ছোট ভাই টাইলস মিস্ত্রি আহত সাদ্দাম হোসেনকে ডাকে। ঘটনা স্থলে সাদ্দাম আসার সাথে সাথে আকাশের পিতা রঞ্জু, সেলিমের পিতা নু আমিন, সেলিম ও আকাশ সকলে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে তাদের দু ভাইকে মারতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে রঞ্জু মিয়া তার নিজ দোকানের ভিতর প্রবেশ করে এক জগ পুরি ভাজার গরম সয়াবিন তেলে নিয়ে আসে এবং জগটি নিজ ছেলে আকাশের হাতে তুলে দেয়। হাতে জগটি পাওয়া মাত্রই আকাশ জগের গরম সয়াবিন তেল সাদ্দামের সমস্ত শরীরে ছুঁড়ে দিলে তৎক্ষনাৎ সে গরম তেলে ঝলসে যায়। ঘটনার পরপরই সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আকাশ ও তার বাবা রঞ্জু মিঞাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য আক্রমণকারীরা দ্রুত গা ঢাকা দেয়। এদিকে স্থানীয় লোকজন মারাত্মক আহত সাদ্দামকে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্য রাত ডাক্তার আহত সাদ্দমাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে তাকে রেফার করে।

এ ব্যাপারে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত পিতা রঞ্জু ও পুত্র আকাশ থানা হেফাজতে রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ