নুরুজ্জামান 'লিটন' - (Naogaon)
প্রকাশ ০১/০৪/২০২২ ০৮:০১এ এম

নওগাঁয় ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ চক্রের দুই সদস্যসহ আটজনের জেল-জরিমানা

নওগাঁয় ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ চক্রের দুই সদস্যসহ আটজনের জেল-জরিমানা
নওগাঁয় ভূয়া জন্মনিবন্ধন সনদ চক্রের দুই সদস্য ও ভূয়া সনদ গ্রহীতা ছয়জনের জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন বিচারক হিসেবে এ আদালত পরিচালনা করেন।
ওই আট জনের মধ্যে ভূয়া সনদ সরবরাহ চক্রের দুইজনকে একমাস করে জেল ও সনদ গ্রহণকারী ছয় জনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাজা প্রাপ্তরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার কিসমত ভবানীনগর গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে সুজাত আলী, একই এলাকার আলেফের ছেলে মোয়াজ্জিম, সদর উপজেলার ভুতলিয়া গ্রামের করিম, কিসমমত ভবানী গ্রামের আমিনুল, একই গ্রামের রবিউল, পয়না গ্রামের সম্রাট, কুজাগাড়ী গ্রামের নাহিদ এবং চকমহাদেব গ্রামের নাজমুল ইসলাম।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, গত ২৮ মার্চ ভোটার রেজিস্ট্রেশন করার সময় দেখা যায় ৬ জন ব্যক্তির জন্মনিবন্ধন সনদ কয়েকদিন আগে ইস্যু করা। যেগুলোতে লিখা ছিলো রেজিস্ট্রেশন অফিস জোন-৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। কিন্তু স্বাক্ষরকৃত জন্মনিবন্ধনে নওগাঁ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নাম রয়েছে। অথচ ওই ছয় ব্যক্তি তা জানতেন না। কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরও জাল করেন তারা।

এ সময় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে তা করেছেন। বিনিময়ে জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিই তারা দেবে। অথচ ওই ব্যক্তিদের পূর্বের আরও একটি জন্মনিবন্ধন সনদ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে রয়েছে।

এক পর্যায়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় দালাল চক্রের দুই সদস্যকে কৌশলে অফিসে ডেকে নেয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ভূয়া নিবন্ধন গ্রহীতারা কাজের জন্য বিদেশে যাবেন। পূর্বের জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী বিদেশ যাওয়ার বয়স হয়নি। তাই বয়স বাড়িয়ে দিতে এই পথ বেছে নিয়েছেন তারা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ