বান্দরবানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শবেবরাত পালন করছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা!
শবে বরাত বা মধ্য-শা'বান বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা'বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত।
উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়,ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন,অনেক অঞ্চলে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার রাতে পালিত হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত।সারাদেশের মত পার্বত্য বান্দরবানেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শবেবরাত উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় সকল মুসলমান মসজিদে মসজিদে নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির আযকার,ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে জেলা সদরের মসজিদ গুলো সাজানো হয়েছে হরেক রকমের আলোকসজ্জায়।
মাগরিবের পর থেকেই জেলা সদরের পৌর এলাকা ও ইউনিয়ন গুলোর মসজিদে মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে জড়ো হতে থাকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। ইবাদতে মশগুল হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থনা করছেন তারা।
এশার নামাজের পর জেলা সদরের কেন্দ্রীয় মসজিদে আদায় করা হয়েছে পবিত্র শবেবরাতের নামাজ,এছাড়াও বাজার মসজিদ,গোরস্থান মসজিদ,স্টেডিয়াম মসজিদ,ওয়াবদা মসজিদ,বাস-স্টেশন জামে মসজিদ,বালাঘাটা মসজিদ সহ জেলা সদরের সকল মসজিদেই পবিত্র শবেবরাতের নামাজে অংশগ্রহণ করেছেন শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী।
সাধারণ অন্যান্য দিনের চেয়ে এই বিশেষ দিনের গুরুত্ব ও ভূমিকা সকল মুসলমানদের কাছে তাৎপর্যপুর্ন,তাই মসজিদে মসজিদে সকল বয়সের মুসল্লীরা আজকের দিনে নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করার চেষ্টা করছে।