দিনভর রাজধানীর সড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি
সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকাল পর্যন্ত যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে নগরীর সড়কগুলোতে। রাজধানীর সড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। একদিকে তাপদাহ অন্যদিকে সড়কে যানবাহনের স্থিরতা। এতেই নাকাল হয়ে পড়েছে নগরবাসী।দিনের আলো কমার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে সড়কে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। রোদের তাপ আর যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। এর মধ্যেও ট্রাফিক কার্যক্রম চলছে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠে। একই সঙ্গে অফিসগামীদের যাতায়াত।
সব মিলিয়ে সড়কের পরিস্থিতি সকালে ছিল ভয়াবহ। তবে সকালের রেশ দুপুর গড়িয়ে গেলেও কাটেনি। দুপুরে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরা। দিনের এসময়ও ছিল যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। দুপুর গড়িয়ে বিকালও সড়কে যানজট দেখা গেছে। তবে অফিস ছুটির পর সড়কের অবস্থা আরও নাকাল হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন অনেকটা থেমে থেমে চলাচল করছে। যাত্রী ও পথচারীদের পরিমাণও বেড়েছে। বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, সাতরাস্তা, মগবাজার, রমনা, মালিবাগ রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। এদিকে সড়কে কে কার আগে যাবে সেটিও দেখা যায়।
বাসগুলো অনেকটা বাকা হয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলা ও নামানোর কারণেও কৃত্তিম যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। তীব্র যানজটের কারণে অনেক পথচারীকে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দেখা যায়।অপরদিকে, রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে। সেসব জায়গাতে হরহামেশাই যানবাহনের জটলা থাকতে দেখা যায়। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দিনের পুরো সময় সেখানে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ মহাখালী পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা ও বিজয় সরণির দিকে কোনো যানবাহন ছাড়তে পারছি না। কারণ ওই দিকে গাড়িগুলো ঠিকমত টানা হচ্ছে না। রমনা, মগবাজার এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকায় আমাদের এখানে যানবাহনের জটলা তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একই অবস্থা। তবে দুপুরে কিছুটা চাপ কম ছিল।