ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ
ভালোবাসার প্রতীক ফুল। শ্রদ্ধা নিবেদন, অভ্যর্থনা কিংবা একে অন্যের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ফুল অনন্য। প্রথমবারের মতো ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ফুল চাষ। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ নানা জাতের ফুল উৎপাদন করে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন জেলার ফুলচাষিরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকজন উদ্যোক্তা ফুল চাষ করে লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি ফুল চাষকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান। তাছাড়া অন্যান্য ফসলের চেয়ে অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা এখন ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ফুলচাষি নাসিমুল আলম জানান, গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করা হয়েছে। একটা সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অন্যান্য জেলা থেকে ফুল আনা হতো। এখন নিজ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে নানা জাতের ফুল।
ফুলের বাগান দেখতে আসা মাশহুর রহমান মাসুদ বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ফুলের বাগানের খবর পাই। নিজ চোখে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। তাই এসেছি। দেখার পর আলাদা এক রকম প্রশান্তি অনুভব করছি। আরেক দর্শনার্থী রিপন আহমেদ বলেন, আমার ফুল চাষের শখ ছিল। তাই বাগানটি দেখতে এসেছি। শখ পূরণের পাশাপাশি লাভবান হওয়ারও সুযোগ রয়েছে। আমি নিজেও একটি ফুলের বাগান গড়ে তুলব।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকরা ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগ তাদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ ও সেবা প্রদান করছেন, সেইসঙ্গে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করছেন। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি জেলায় ফুল চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে একদিকে যেমন লাভবান হবে কৃষক অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
লেখক:- ইরফান ইবনে আমিন পাটোয়ারী
শিক্ষার্থী:- প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।