তুমি যে নারী!
এই পথে যাওয়া মানা,
ঐ পথে যেওনা,
এই তো গল্পের সারি..
রাত বেশি হয়ে গেলে কি করে ফিরবে যে বাড়ি!
ঐ কাজ করোনা ;ওর সাথে মিশনা
রাস্তায় বের হলে ফিস ফাসও হেসো না।
এরকম কত শত অলিখিত হুলিয়া জারি,
যত কিছু করোনা কেন, ও তুমি পারবেনা যেন!
মনে রেখ দিন শেষে, তুমি তো না…রী ইইই
যত শত লেকচার দেওনা কেন
দিন শেষে ফিরে এসে, উনুনেতে চড়াবে যে হাড়ি!
এই সব বাতেলা শুনে শুনে; কান মোর হয়ে গেলো ভারি,
ও কাজ করোনা তোমা দ্বারা হবেনা
তুমি তো নারী….
পুরুষের পদতলে রাখা একনিষ্ঠ কর্মচারী…
পথে ঘাটে বাসে ট্রেনে হোকনা; যা খুশি তোমার,
সমাজের বয়েই গেল ভারি।
মনে রেখ তুমি তো নারীই
খাঁচা কেটে মুক্ত হতে যদি যাও,
তবে সমাজের সাথে করে এস চির আড়ি
থেকেও আছে কি তোমার নিজ কোন বাড়ি?
তু..মি যে না..রীইই…
দূর হতে মুক্তির ছোয়া নিতে;
জানালার ধার ঘেসে দাড়াতেও পার না তুমি,
দেখে যদি ফেলে কেউ,
তুমি যে নারী।
এলো চুলে জোৎস্নার আলো ছোয়া যাবেনা,
দূর পথে একাকী যাওয়া তো হবে না।
রবে তুমি অন্ধ কূপ মাঝে বন্ধি,
এ যেন জগতের সাথে তব অলিখিত সন্ধি।
লাগছে নাকি,কথাগুলো সোশিয়ালিস্টিক ভারি!
আরে আমরা যে নারী
বিশ্বময় নাকি ;সকল ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী!!(৩০.৩.১৯)