Azizur Rahman babu - (Shariatpur)
প্রকাশ ০৬/০৩/২০২২ ১১:১৩এ এম

নারী কতৃক পুরুষ কেন নির্যাতিত হয় ?

নারী কতৃক পুরুষ কেন নির্যাতিত হয় ?
সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারী নির্যাতিত হলে সমাজে যেভাবে প্রকাশিত হয় - একজন পুরুষ শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন হলে তেমন প্রকাশ ঘটে না। কারণ নারী থেকে একজন পুরুষের সহনশীলতা ও ধৈর্য তুলনামূলক অনেক বেশী। তারপরও পুরুষেরাই
সর্বদাই অবহেলিত। তা ছাড়া সামাজিকভাবে একজন পুরুষের গ্রহণযোগ্যতা বেশী বিধায় তাঁরা সহজে মুখ খুলেন না। নিজের হেনস্তার অভিযোগগুলো বলতে আগ্রহী থাকেন না অথবা লোক লজ্জার ভয়ে স্হান কাল পাত্র বিশেষে তুলে ধরতে পারেন না।

সামাজিক জরিপে দেখা গেছে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত পরিবারের উপার্জনক্ষম স্বামীরা নীরবে নিভৃতে শারিরীক - মানষিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন । সে হিসেবে পুরুষেরা লোক লজ্জা, সামাজিক মানসন্মান রক্ষায় প্রকাশ করছেন না। সন্তান স্ত্রী পরিবারের ভালো মন্দ বিবেচনা করে। চাপা ক্ষোভে নিজেই প্রতিনিয়ত নিজকে শেষ করে দিচ্ছেন । বাংলাদেশে শতকরা ৭০% ভাগ পুরুষেরা নারী কতৃক মানষিক ও শারীরিক নির্যাতিন ভোগ করেন।

সামাজিক ভাবে বিভিন্ন পরিবারের সাংসারিক জরিপে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। এসব বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের স্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। যা সমাজের কল্যাণ বয়ে আনবে।

স্বামী - বা স্ত্রীর বৈধ সংসারে পুরুষদের প্রতি যেসব কারণে নারীদের সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় --

১) নারী পুরুষের মনমালিন্যের অন্যতম কারণ আর্থিক অসচ্ছলতা । কখনো কখনো বেহিসেবী অবৈধ অর্থ সংসার জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করে।

২) নারী - পুরুষের উভয়ের মানবিক দৈন্যতা এবং পরস্পরের মধ্যে সহনশীলতা। উভয়ের বয়সের তারতম্যে বোঝাপড়ার অভাব।

৩) সামাজিক প্রভাব - প্রতিপত্তি এবং আর্থিক দিক দিয়ে যদি স্বামী অথবা তাঁর পরিবার স্ত্রীর পরিবার থেকে কম সচ্ছল হয়।

৪) স্ত্রী যদি বাপের বাড়ির পরিবার কতৃক আনুকূল্য বেশী পেয়ে থাকে।

৫) স্ত্রী যদি নিজের মায়ের পরিবারের পরামর্শ নিয়ে স্বামীর পরিবারকে পরিচালনা করে থাকেন।

৬) স্ত্রীর যদি স্বামীর বাড়িতে আসার পূর্ববর্তী সময়ের কুমারী জীবনের প্রভাব অতিমাত্রায় আবেগী প্রভাব স্বামীর পরিবারে প্রয়োগ করে।

৭) স্ত্রী যদি নিজের বিবাহিত পুরুষকে নিজের চেয়ে কম যোগ্য মনে করে।

৮) ক্ষেত্র বিশেষে নারীর যদি উচ্চাভিলাষী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়।

৯) স্ত্রী যদি নৈতিকতায় অনুন্নত এবং নেশাগ্রস্ত জীবনে প্রবেশ করে।

উপরোক্ত কারণে পুরুষেরা কোন না কোন পর্যায়ে নারী কতৃক নিগৃহীত হন। এসব বিষয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নারীকে যদি নির্দিষ্ট ফৌজদারী কার্যবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করে " পুরুষ নির্যাতন আইন " প্রণয়ন করা যেতো তাহলে অনেকাংশে পুরুষ নির্যাতন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।

স্ত্রী'দের পক্ষে নারী নির্যাতন আইন থাকায় স্ত্রী রা পুরুষদের চেয়ে বেশী সুরক্ষিত। কারণে অকারণে নারীরা অহেতুক মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করছে অপরপক্ষে বারবার পুরুষেরা হয়রানি শিকার হচ্ছে।

বাস্তবতায় স্বামী স্ত্রীর সংসার জীবনে ভারসাম্যহীন চলাফেরা আর দাম্ভিকতা পূর্ণ আচরণ ও অর্থের সুষম বন্টনের অস্হিরতার কারণে পুরুষদের জীবনে অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরী ভাবেই সামাজিক সুখ শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সামাজিকতায়, ইতিবাচক দৃষ্টিতে ফিরিয়ে আনতে যুগোপযোগী চাহিদা মোতাবেক আইনী বিধান নির্মাণে সরকারের নীতিনির্ধারকদের যত্নবান হওয়া উচিত।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ