" প্রিয়জন " সৃষ্টিতে আধুনিক ভার্চুয়াল সিষ্টেম বিশেষ ভূমিকা রাখছে । এতে কারো ভাগ্য খুলছে আবার কারো ভাগ্য পুড়ছে। তারপরও যারা সজাগ থেকে হিসেব কষে সিষ্টেম গুলো ব্যবহার করছেন তাঁরা ঠকছেন না।
অবিবাহিত বা বিবাহিতরা মেসেঞ্জারে অথবা ইমোতে যে ভাবে সম্পর্ক তৈরি করছেন। সেগুলো অনেককাংশে টিকছে না। একেকজন ভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আবার নব বিবাহিতারা বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের সংসারকে সুরক্ষিত করতে মেসেঞ্জারে ইমো ডিয়েকটিভ করছেন। বাস্তবতায় একেকজনের অভিজ্ঞতা একেক রকম।
মেসেন্জার - ফেসবুকিং - ইমো ডিটেকটিভ করলেই কী আপনার প্রিয়জনের সাথে ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে ? এমন ধারণা যারা পোষণ করেন - তাঁরা চরম ভাবে ভূল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন ! এটা একটা অজুহাত মাত্র । বাস্তবতায় সে যদি সত্যি আপনার " প্রিয়জন " হয়েই থাকেন। তবে সবার আগে দরকার উভয়ের মধ্যে যৌক্তিক বোঝা পড়া এবং পরস্পরের ভালো লাগা - মন্দ লাগাকে সন্মানের সাথে প্রাধান্য দেওয়া। যদি কোনটি ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পড়লে - যথাসম্ভব উভয়ের সাথে উভয়েই বসে আলোচনা করে সমাধান করা। নয়তো এই মানবিক দূরত্ব আপনাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর।
এমনো হতে পারে আপনার অলক্ষ্যেই অথবা গোপনে ফেইক আইডি ওপেন করে, উভয়ের কোন একজন তার ইচ্ছাকে দিনকে দিন অব্যাহত রাখছেন। অপরিচিত কোন বন্ধু বান্ধবীকে নিজের অজান্তেই ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করছেন ! মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অথবা কতৃত্ব দাবী করে কিছু করতে যাবেন না এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর এ কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তাই বলি সুন্দর যুক্তি ও সাবলীল ভংগীমায় যা বোঝানো সম্ভব - সেখানে কেরোসিন ঢালার কী কোন প্রয়োজন আছে ?... নাই।
" প্রিয়জন "হতে যে বিষয়টি সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তা হলো " সহনশীলতা - ধৈর্য, পরস্পরের মধ্যে সমঝোতার সমীকরণ ।
" প্রিয়জন " মানেই হলো উভয়ের প্রিয় অপ্রিয় বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে বাছাই করে - উভয়ের ভালো লাগা - মন্দ লাগাকে ক্ষেত্র বিশেষে প্রাধান্য দিয়ে, জীবন সংসারের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডকে অদৃশ্য মমতায় বিশ্বাস ও আস্হার ভিত্তিকে মজবুত করে জীবন সংসারের সাথী হয়ে নিবিড় বন্ধুত্বে বন্ধন গড়ে তোলা।