Monir
প্রকাশ ২১/০২/২০২২ ০৬:০৬পি এম

কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলে ভুট্টার চাষ

কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলে ভুট্টার চাষ
কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের চরগুলোতে কৃষকরা এবার ভুট্টা চাষ করেছেন। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই এখন সবুজের সমারোহ। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবছর কৃষকরা এ চাষ করেছেন বেশি।

চরের বাসিন্দারা সনাতনী ফসল আবাদের পাশাপাশি এখন বাড়তি আয়ের জন্য ঝুঁকেছেন অর্থকরী ফসল ভুট্টার দিকে। আগাম জাতের এসব ভুট্টা চাষে পোকার আক্রমণ এবং রোগবালাই কম হওয়ায় চরের এসব কৃষকরা আগ্রহী বেশি। ভুট্টার আবাদের গাছের সবুজ চারা দেখে মন ভরে যায় কৃষকদের। চরের বুক চিরে সবুজের সমারো প্রকৃতিকে চিরসবুজ করে তুলেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে জেলার ৯ উপজেলার ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আগাম ১২ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যেই হয়েছে।
বিভিন্ন চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে ভুট্টা চাষ বেশ লাভজনক। তাই ভুট্টা চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের। প্রতি শতক জমিতে প্রায় ২ মন ভুট্টা উৎপাদিত হয়। এতে উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুন লাভ হওয়ায় কৃষকদের মনোযোগ বেড়েছে এ চাষে। শুধু তাই নয়, ভুট্টার কান্ড জ্বালানি, গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে পাতা ব্যবহার করা হয়। উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের নামাজের চরের কৃষক সামসুল মিয়া বলেন,আমরা এবারই প্রথম ভুট্টা চাষ করছি।আগে চরে মসলা ও বাদাম আবাদ করতাম।ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ায় এবার বেশ কিছু চরের জমিতে লাগিয়েছি। আশাকরি ফলন ভালো হবে, লাভবান হবো। রৌমারী উপজেলার চর গয়টাপাড়া গ্রামের ভুট্টা চাষী মুকুল মিয়া ও বাগুয়ার চর গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, বন্যার পানির সাথে জমিতে বালু আসায় জমিতে পলি পড়েছে। ফলে ইরি-বোর চাষ না করে চরের ওই জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে জমিতে সার বেশি লাগে। কিন্তু অন্যান্য ফসল এবং ইরি-বোর ধান চাষের চেয়ে ভুট্টার আবাদে অনেক বেশী হয়।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রশীদ জানান, এ জেলার চরাঞ্চলসহ মাটি ভুট্টা চাষে খুবই উপযোগী। এছাড়াও এ চাষে খরচ কম লাভ প্রচুর। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা কিন্তু বিঘা প্রতি ফলন হয় ৩৩-৩৪ মণ ভুট্টা যা বিক্রি হয় ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকায়। খরচ বাদে লাভ হয় ১০-১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন, কৃষকদের রীতিমত পরামর্শ দিচ্ছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভুট্টার ভালো ফলন হবে বলে আশা করি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ