এ অবেলায় হঠাৎ, তা কী মনে করে?
কবি আমার ভীষণ একা-একা লাগছে, মনে হচ্ছে ভেতরের সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে একপাশে সরে গেছে!
পায়রির পা তবে শেষমেশ কেটেই গেলো বিষাদে?
আমি মরে যাচ্ছি কবি! 'নেই কিছু নেই'
এ জলে ডুবে মরবার আগে আমার একটি হাত চাই!
ওখানে একটা সান্ত্বনার চিরকুট পড়ে আছে!
শুরুর একটি অক্ষর অস্পষ্ট, ভেতরে তিনটি কুমারীদের মুখস্থ, শেষের তিনটির উদ্ধার কাজ চলছে!
আমিতো চিরকুট চাইতে আসিনি!
অনেককিছুই আজ নেই! অনেক চাওয়ার মূল্য 'কিছু না'!
তবু আমি তোমাকে চাই! একান্ত তোমাকে!
দুঃখ পেতে, না দিতে?
ভাগ করে নিতে!
একদিন এই শহরের রণাঙ্গন জুড়ে কেবল কৃষ্ণচূড়া একাই আমার বসন্তের গোল্লাছুট খেলছিলো!
আমি তোমাকে বলেছিলাম, নিঝুম রাতে বুকের উপরে বেদনার হাত রাখলে সেখানে তুমি কিসের শব্দ পাও?
তুমি বলেছিলে, বনমানুষের পায়ের শব্দ!
আমি বলেছিলাম, তাকে ভালোবাসা যায়?
তুমি তখন তোমার 'কিন্তু বিলাসী' চোখে আগুন দিয়ে রাঙ্গিয়েছিলে একটি শব্দ 'না'!
আফসোস সেদিন আমার অন্ধ স্পর্শ তোমাকে আলিঙ্গন করে নিতে পারেনি!
অকারণে কারণ বাড়িয়ো নাতো কবি!
অভ্যেস হয়ে গেছে! জল নিবে নাকি অন্ধকার?
আর কিছু বলবে?
তুমি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছো!
বুঝলেই যদি তবে আগুনের কেঁচি দিয়ে গ্যাজগ্যাজ করে কাটছো কেনো 'ফেলনা দিনের খেলনা'!
তোমার ফেলনা আমার মৃত্যুর শৈশব ছিলো!
আমি চলে যাচ্ছি কবি!
...তুমি বরং আমার বুকের উপরে মাথা রেখে কান পেতে শুনো!
দ্যাখো আজকের প্রজ্ঞাপন তোমাকে কী বলে!
না লাগবে না!
একটি 'না' আবারো হাজারটা 'হ্যাঁ' এর জবান বন্ধ করে দিতে পারে!
শুনছি তবে! কাছে এসো!
কিছু শুনতে পেলে?...কিছু শুনতে পেলে?...
স্বাগতম! স্বাগতম শব্দটি ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছে তোমার বুকে!
হ্যাঁ তুমি ঠিক ধরেছো! এবার আরেকটু শক্ত করে আমাকে ঝাপটে ধরো! ব্যথা কমাই!
আচ্ছা!
মো: আনন্দ মিয়া
শিক্ষার্থী: ইতিহাস বিভাগ( ২য় বর্ষ),
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ইমেইল:
[email protected]