আমরা কয়েকজন মিলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটু বাজারে এসে ঘুরাঘুরি করি। আর হঠাৎ হঠাৎ কিছু প্ল্যান করে বসি যা আমাদের করতেই হবে। আজকেও এভাবে বসেছিলাম হঠাৎ একজন বলল আমরা আজকে পুরো গ্রাম টা ঘুরে দেখবো।
তখন বললাম চলো যাই তবুও এটা শীতের রাত আমরা বাইক নিয়ে যাব নাকি একটু টেনশনে ছিলাম শীত কেমন লাগবে তারপর, অবশেষে বাইক রেখে গেলাম।
হাটা শুরু আমরা বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের এলাকার অনেক দুরে যাওয়ার পরে রাস্তার পাশে একটি ইটভাটা পেলে গেলাম। ইটভাটার উপরে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
হঠাৎ দূরে দেখি একটি দোকান বসে আছে সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম মামা আপনার কাছে কি আছে তিনি বললেন নেহারি এবং হালিম। তারপর আমরা নেহারি সাথে হালিম মিক্স করে দিতে বললাম। শীতের দিনে গরম গরম হালকা জালসহ এটা খেতে অনেক মজা লাগে। আমরা অর্ডার করার পরে মামা বানাতে শুরু করলো।
তার খাবারটি তৈরি করতে ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। তারপর সেটা আমাদের সামনে দিল। খেতে অনেক মজা হয়েছিল যখন গালে নিচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল শীতের দিনের গরম গরম কিছু খাওয়া একটি অসাধারণ অনুভূতি ছিল। আর এটি অনেক ভালো মজার ছিলো। মাথার উপরের চাঁদ ভালোই লাগছিলো।
ঘুরতে ঘুরতে অনেক রাত হইয়া গেছিল । প্রায় রাত ১১ টা । শিতের রাত তাই রাস্তাই কোন লোক ছিল না। আমরা রাস্তা দিয়া হাটতে শুরু করে ছিলাম হাটতে হাটতে রাস্তার পাশে একটি সুন্দর নতুন বাড়ি দেখতে পেলাম, খুব ইচ্ছে হচ্ছে এই বাড়ির ছাদে উঠে চাঁদ দেখি, ইচ্ছে পূরণের লক্ষ্যে এই বাড়ির ছাদে উঠা, হঠাৎ রফিক ফোন দিলো তাকে বললাম এই বাড়ির ছাদে আসতে, সে আমাদের কে ফোনের ঐ পাশ থেকে বলতে লাগলো এই বাড়িতে সমস্যা আছে তারা তারা নিচে চলে আস।
রাব্বি ছোট তাই একটু ভিতু ছিল । হঠাৎ করে দেখলাম আমাদের সামনে বড় গাছের ডাল ভেঙ্ঘে পড়লো । এবং ছাঁদ থেকে নামার সময় অনেক জোরে দরজার ভয়ংকর আওয়াজ। নতুন বাড়িতে কোনো দরজার লাগনো হয় নাই এখনো। কিন্তু এরকম ভয়ংকর আওয়াজ আগে কখনও শুনি নাই । ঐ ভয়ংকর আওয়াজ শুনে রাব্বি খুব ভয় পেল । সাথে আমিও অনেক ভিতু হইয়া গেলাম । আমি ভাবলাম কি হচ্ছে আমাদের সাথে,নিচ্ছই খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে ।
যদিও খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে।
মিদুল রাব্বি কে সাহস দিতে লাগলো ।
খারাপ কিছু হওয়ার আগেই আমরা ওইখান থেকে দ্রুত হাটতে শুরু করলাম । খুব শীত পড়ছে গ্রামে, আবার রাস্তার পাশে অনেক জোরে জোরে শিয়াল মামা ডাকতেছে । সব মিলাই দিনটা খুব খারাপ ছিল । আবার আমাদের সাথেই পিছনে মনে হচ্ছিল কেউ হাটতেছে । কিন্তু আমরা পিছু ফিরে তাকালাম না । মিদুল আমাদের কে মানা করলো পিছু ফিরে তাকিও না । যদি পিছনে কিছু থাকে আর যদি আমরা পিছু ফিরে তাকাই তাহলে অনেক ভয় ভিতি দেখাতে পারে এবং ঘাড় মটকাই দিতে পারে । পিছনে যাই ঘটে যাক না কেন যদি পিছনে তাকানো না হয়, কোন সমস্যা করতে পারবে না। আবার যদি আমরা ভয় পাই তাহলে আরও বেশি ভয় দেখাবে । আর যদি ভয় না পাই তাহলে কোন সমস্যা নাই ।
অবশেষে বাসায় আসলাম খুব কষ্ট করে তখন প্রায় রাত ৪ বাজে, অনেক হাটতে হাটতে খুব ক্লান্ত।
সাথে সাথে রুমে আসারপর শুয়ে পারলাম ।
লেখক/ মাহফুজুর রহমান