SATYAJIT DAS - (Habiganj)
প্রকাশ ০৪/০২/২০২২ ০৩:২৬পি এম

Typhoid Fever: টাইফয়েড কি,তার লক্ষণ ও চিকিৎসা

Typhoid Fever: টাইফয়েড কি,তার লক্ষণ ও চিকিৎসা
সমরেশ পাল টিটু (উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) হবিগঞ্জ।

টাইফয়েড বা টাইফয়েড জ্বর হল এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ, যা সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয়। লক্ষণ মৃদু থেকে তীব্র হতে পারে,সচরাচর জীবাণু প্রবেশের ৬-৩০ দিন পর লক্ষণগুলি দেখা যায়। প্রায়ই কয়েকদিনের ব্যবধানে জ্বর এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দুর্বলতা,পেট ব্যাথা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, মাথা ব্যাথা সচরাচর হতে দেখা যায়।ডায়রিয়া খুব একটা হয় না, বমিও সেরকম হয় না। কিছু মানুষের ত্বকে র‍্যাশ এর সাথে গোলাপী স্পট দেখা যায়। বিনা চিকিৎসায় সপ্তাহ বা মাসখানেক ধরে লক্ষণ থাকতে পারে। কিছু ব্যক্তি আক্রান্ত না হয়েও জীবাণু বহন করে রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে। টাইফয়েড জ্বর আন্টিবায়টিক ব্যবহার করে সারানো যায়।

টাইফয়েড জ্বরের কারণ হল সালমোনেলা টাইফি নামক এক প্রকার ব্যাক্টেরিয়া,যা অন্ত্র ও রক্তে বৃদ্ধি পায়।এটা সংক্রমিত (সংক্রমিত ব্যক্তির মল ও মূত্র দ্বারা) খাদ্য বা জল পানের দ্বারা ছড়ায়। ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে স্যানিটেশনের অভাব এবং ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি অন্তর্ভুক্ত। উন্নয়নশীল বিশ্বের যারা ভ্রমণ করে, তারাও ঝুঁকির মাঝে আছে।শুধুমাত্র মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া কালচারের মাধ্যমে,অথবা রক্ত,মল বা অস্থি মজ্জার মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ(DNA) শনাক্ত করে এ রোগ নির্ণয় করা হয়।অস্থি মজ্জার টেস্টিং সবচেয়ে সঠিক।

টাইফয়েড জ্বর বাংলাদেশে খুবই সচরাচর একটি রোগ। টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তস্রোতে ও অন্ত্রনালীতে এই ব্যাটটেরিয়া অবস্থান করে এবং দুষিত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিযা দেহে প্রবেশ করা জীবাণুগুলো গুণিতক আকারে বেড়ে গিয়ে রক্তস্রোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। আজ আমরা জানব টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।

টাইফয়েড জ্বরের কারণ ও ছড়ানোর মাধ্যমঃ-
টাইফয়েড একটি পানিবাহিত মারাত্মক রোগ যা দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে।
(১)‘সালমোনেলা টাইফি।
(২) ‘সালমোনেলা প্যারাটাইফি’। সালমোনেলা টাইফির সংক্রমণে যে জ্বর হয় তাকে টাইফয়েড জ্বর বা ‘এন্টারিক ফিভার’ বলে। আর যদি জ্বর সালমোনেলা প্যারাটাইফির নামক জীবাণুর কারণে হয় তখন তাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর বলে। প্রধানত দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতার কারণেও এটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হতে আরোগ্য লাভ করেছেন কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া বহন করছেন এমন কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও এই রোগের বাহক হতে পারে। যেভাবেই এই জীবাণু শরীরে শরীরে প্রবেশ করুক না ঢুকার পর তা বৃহদান্ত্রকে আক্রমণ করে। এছাড়া এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের পিত্তথলিতে জমা থাকে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই কেবল আক্রমণ করে।
টাইফয়েডের ঝুঁকি কাদের বেশি?

যেকোন বয়সেই টাইফয়েড হতে পারে, তবে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরীরে জীবাণু প্রবেশ করলেই টাইফয়েড হবে এমন কোন কথা নাই কারণ দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে অনেক সময়ই জীবাণু দেহে সংক্রমণ করতে পারেনা। তবে কম রোগপ্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস রোগীরা সহজেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারে। যেসব এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব জায়গায় ভ্রমণ করলেও এ রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণসমূহঃ

সাধারণত রোগ-জীবাণু শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিন পর রোগের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেতে থাকে। জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ যা প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পায় জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। এর প্রধান প্রধান লক্ষণসমূহ নিম্নরুপঃ

১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর হওয়া।
জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। ক্ষুধামন্দা হওয়া সহ কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে। গা ম্যাজ ম্যাজ করা সহ রোগীর কফ বা কাশি হতে পারে ।
প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর পেটে ও পিঠে গোলাপি রঙের দানা দেখা দিতে পারে। কারো কারো জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়। হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে।
ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর থাকতে পারে।

কিভাবে টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ করা হয়?

পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কেবল চিকিৎসকগণ বলতে পারবেন যে কারও টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিনা। টাইফয়েড দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার নামক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি নমুনায় স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে প্রকার ভেদে টাইফয়েড ও প্যারা- টাইফয়েড পার্থক্য করা হয়। এছাড়া জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে “উইডাল টেস্ট” নামে এক ধরনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয় যাতে টাইটার দেখে টাইফয়েড নির্ধারণ করা হয়।
কিভাবে টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ করা হয়?

পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কেবল চিকিৎসকগণ বলতে পারবেন যে কারও টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিনা। টাইফয়েড দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার নামক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি নমুনায় স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে প্রকার ভেদে টাইফয়েড ও প্যারা- টাইফয়েড পার্থক্য করা হয়। এছাড়া জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে “উইডাল টেস্ট” নামে এক ধরনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয় যাতে টাইটার দেখে টাইফয়েড নির্ধারণ করা হয়।

টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
প্রধানত এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে ডাক্তারগণ টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করে থাকেন। নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক শুরুর পরও জ্বর কমতে পাঁচদিনও লেগে যেতে পারে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও দ্রুত চিকিৎসা না করলে জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী থাকতে পারে। এছাড়া রোগী অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার দেওয়া দরকার কারণ দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে তাঁর শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তীব্র আকারে পানি শূন্যতা দেখা দিলে শিরাপথে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমেও তরলজাতীয় খাবার প্রদান করা যেতে পারে। টাইফয়েডের রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে হবে। অসুস্থতাকালীন সময়ে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতিবার বাথরুম ব্যবহারের পর হাত পানি ও সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো যতদিন পর্যন্ত চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দিবেন ততদিন পর্যন্ত তা গ্রহণ করতে হবে।

টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে করণীয়ঃ-
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাইফয়েড জ্বরের জন্য নির্ধারিত ভ্যাক্সিন (টিকা) গ্রহণ করা রোগটি থেকে বেঁচে থাকার একটি উপায়। ইনজেকশন এবং মুখে খাওয়ার উভয় ধরনের ভ্যাক্সিন বাজারে পাওয়া যায়। ভ্যাক্সিন গ্রহণ করার ব্যাপারে চিকিৎসককের পরামর্শ নেওয়া দরকার। সব সময় ভ্যাক্সিন ১০০% কার্যকর হয়না তাই ভ্যাক্সিনের পাশাপাশি নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা দরকার।

(১) শাকসবজি,ফলমূল এবং রান্নার বাসনপত্র সবসময় পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
(২) খাবার ভালভাবে রান্না বা সিদ্ধ করে তারপর খাওয়া উচিত।
(৩) খাবার গ্রহণ,প্রস্তত বা পরিবেশনের পূর্বে খুব ভালভাবে হাত ধৌত করতে হবে।
(৪) পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুটানো পানি বা পরিশোধিত পানি সংরক্ষণ করতে হবে এবং পানি যাতে দূষিত হতে না পারে সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণকৃত সেই পানি পান করা উচিত।
(৫) বোতলজাত,পরিশোধিত বা ফুটানো পানি হতে বরফ তৈরি করা না হলে সেই বরফ মিশিয়ে পানি বা অন্য কোন পানীয় পান করা হতে বিরত থাকতে হবে।
(৬) রাস্তার পার্শ্বস্থ দোকানের খাবার গ্রহণ এবং পানি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
(৭) টয়লেট সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
টয়লেট ব্যবহারের পর,শিশুকে পরিষ্কার করার পূর্বে, খাবার প্রস্তুত বা পরিবেশন করার পূর্বে, নিজে খাওয়ার পূর্বে বা শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই টাইফয়েড থেকে বাঁচার মূলমন্ত্র। যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন তাদের প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় খেতে হয়। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি পান এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবসময় নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না ফলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই টাইফয়েড প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করলে বাইরের খাবার খাওয়া এবং পানি পান করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

টাইফয়েড ভ্যাকসিন এর ডোজেজ?
টাইফয়েড ভ্যাকসিন যারা টাইফয়েড জ্বর দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত তাদের দেওয়া হয়। এ ছাড়া টাইফয়েড ভ্যাকসিন আরও কিছু পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়।
যেমন টাইফয়েড আক্রান্তের সাথে যোগাযোগ করা। টাইফয়েড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এমন জায়গায় যাবেন না। টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করতে পরীক্ষাগারে থাকতে হবে। টাইফয়েড ভ্যাকসিন যে কোনও বয়সের লোককে দেওয়া যেতে পারে। এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পরে প্রতি দুই বছর পরে এই ডোজ দেওয়া যেতে পারে। টাইফয়েডের একটি মৌখিক ওষুধ ৬ বছরের বেশি বয়সী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ককে দেওয়া যেতে পারে। এই ওষুধের চারটি ডোজ রয়েছে,যা একটি ব্যতীত সপ্তাহে একদিন নেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুসারে,চিকিৎসক দুই বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরামর্শ দিতে পারেন।

টাইফয়েড ভ্যাকসিন কাদের দেয়া উচিত নয়?
কিছু ক্ষেত্রে, ডাক্তার টাইফয়েড ভ্যাকসিন না নেওয়ার পরামর্শ দেন। শিশু বা প্রাপ্তবয়স্করা যদি অন্য কোনও রোগে ভুগছেন তবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া ঠিক হবে না।

যদি কোনও ব্যক্তি ইতিমধ্যে খুব অসুস্থ থাকে তবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া যাবেনা। যদি ব্যক্তি টাইফয়েড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হয় না। টাইফয়েডের মৌখিক ঔষধটি ৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের দেওয়া উচিত নয়।
যদি টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেহে মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে,তবে এই ভ্যাকসিনটি চালানো উচিত নয়। টাইফয়েড ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণের আগে শিশু যদি অসুস্থ হয় তবে পুনরুদ্ধারের পরেই এটি নেওয়া যেতে পারে। যাদের অনাক্রম্যতা দুর্বল তাদের টাইফয়েডের ওষুধের পরিবর্তে ভ্যাকসিন দিতে হবে। টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার বিষয়ে নিশ্চিত হন।

টাইফয়েড ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কী?
টাইফয়েড ভ্যাকসিনের কোনও নির্দিষ্ট ক্ষতি হয় না এবং যদি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় তবে তা কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে, ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আসুন আমরা আরও ব্যাখ্যা করি। টাইফয়েড ভ্যাকসিনের সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছেঃ-
(১) মাথা ব্যথা।
(২) শিশু, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জ্বর।
(৩) ইনজেকশন সাইটে ফোলা এবং ব্যথা।
(৪) টাইফয়েড ভ্যাকসিনের গুরুতর ঘটনা খুব কমই দেখা যায়। তবে কিছু লোকের ভ্যাকসিনের কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। যেমন-গলায় ফোলাভাব। শ্বাস নিতে অসুবিধা,জন্ডিস,ম
ওষুধের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে টাইফয়েড অন্তর্ভুক্ত। মাথা ব্যথা,জ্বর। কিছু ক্ষেত্রে, টাইফয়েডের জন্য ওরাল ওষুধের অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। যেমন – পেটে ব্যথা।
চামড়া ফুসকুড়ি,বমি বমি করা।

ভারতে টাইফয়েড ভ্যাকসিনের দামঃ-
ভারতে টাইফয়েড ভ্যাকসিনের ব্যয় প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার থেকে ১৫০০ অবধি হতে পারে। তবে ভারতে অনেক ব্র্যান্ডের টাইফয়েড ভ্যাকসিন পাওয়া যায়,যার মাত্রা পরিমাণের উপর নির্ভর করে কম বা বেশি হতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ