Bahubal: দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ের মুকুট পরলেন বিকাশ চন্দ্র দাশ
শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ৬ষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়ন ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের বিকাশ চন্দ্র দাশ।
দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ ধাপে দেশের ২১৭ টি ইউনিয়নে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির ক্রান্তিলগ্নে ও ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতার মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ০১নং স্নানঘাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার পদে ভোটে জয়লাভ করলেন বিকাশ চন্দ্র দাশ। তিনি ২য় বারের মত ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি রোজ সোমবার বাহুবল উপজেলায় মোট ৭৬টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ ৭টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত দিনে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে ১০ ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি’র ৮০,র্যাব-এর ৪৩ পুলিশ-এর ৮৬০ ও আনসার বাহিনীর ১,২৯২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ইভিএম মেশিন পরিচালনায় অভিজ্ঞ ২ জন করে অপারেটর প্রতিটি কেন্দ্রে এবং প্রতি তিন কেন্দ্রের জন্য একটি করে ইভিএম বিশেষজ্ঞ টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে। উপজেলার ৭৬ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুকিপূর্ণ ৩৪টি এবং ২২টিকে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছিলো।
সারাদেশে ২১৭ টি ইউনিয়নের ন্যায় ০১নং স্নানঘাট ইউনিয়নেও সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ইভিএম মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ০৭ নং ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।তবে অনেক ভোটারই তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতা ও ভোট লিস্টে নাম না থাকার কারণে ভোট প্রদান করতে পারেন নাই।
উক্ত ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারে মেম্বার পদে মোট তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সকল জটিলতা ও কম ভোট কাস্টের মধ্য দিয়ে বাবু বিকাশ চন্দ্র দাশ(ফুটবল) প্রতীকে ৩৪২ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাশ(মোরগ) প্রতীকে ৩০০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও শ্যামল দাশ(তালা) প্রতীকে ২৯৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
বিকাশ চন্দ্র দাশ আই নিউজ বিডি'কে বলেন,'০৭ নং ওয়ার্ডের জনগণ আমায় দ্বিতীয় বারের মত তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত করেছেন তাতে ৭নং ওয়ার্ডের জনগনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এ বিজয় বিজয় আমার নয়,এ বিজয় ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগনের। আমি আমার ওয়ার্ডের উন্নয়ন মুলুক কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করি এবং আবারও ওয়ার্ডবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও আমি যথাসাধ্য জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকবো '।
৩১ জানুয়ারি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কোন রকম বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট কেন্দ্রে শান্তি ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন স্থানীয় জনগণও। যেসব ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়নি শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে ভোট দিতে পেরে ভোট কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রায় ৩৫ ভাগ ভোটারই বলেছেন,' শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেন্টারে অনেকেরই ভোটার লিষ্টে নাম না থাকায় ও ইভিএম মেশিনে ফিঙ্গার প্রিন্ট ভোগান্তিতে পড়েন। এর মধ্যে অনেকেই তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে না পেরে আবেগে আপ্লূত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এই বারের ইউপি নির্বাচনে বয়স্ক ও যুবক ভোটারদের পাশাপাশি তরুণ ভোটার ও নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্নানঘাট ইউপি নির্বাচনে ০৭নং ওয়ার্ডের সকল পদ-প্রার্থীর চেয়ে বিকাশ চন্দ্র দাশ এর জনপ্রিয়তা ছিল সবার শীর্ষে। জনগণের কাঙ্খিত সমর্থন পেয়ে ভোটে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হন বিকাশ চন্দ্র দাশ।
৭নং ওয়ার্ড বাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিকাশ চন্দ্র দাশ আরও বলেন,জনগণ তাঁকে ভালবেসে ও তার প্রতি আস্থা রেখে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। ভবিষ্যতে এলাকার ধারাবাহিক উন্নয়ন বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
উল্লেখ্য যে,২০১৬ সালে ৪ঠা জুন ফুটবল প্রতীকে ৩৭৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সত্যেন্দ্র দাশ ২১৭ভোট পেয়েছিলেন ।