Bogra: ধুনটে সাংবাদিক পিতা স্কুল শিক্ষকের শখের বাগানে সুখের হাসি
বগুড়া ধুনট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক এসএম ফজলে রাব্বি শুভর পিতা তার গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন প্রকার ফলের শখের বাগান করে ফুটিয়েছেন তার নিজের মুখে সুখের হাসি।
প্রকৃতির প্রেমে মিশে যাওয়া সেইসব মানুষগুলো তাদের নিজের শখ মিটাতে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়ে তা লালন পালন করেন যেনো সন্তানের মতন।
নিজের শ্রম, ঘাম ও কষ্টে সন্তানের মত করে গাছের যত্ন নিয়ে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলতে এটি সত্যিই প্রকৃত একজন গাছ প্রেমী মানুষের বৈশিষ্ট্য।এমনই একজন গাছ প্রেমী ও সৌখিন মানুষ বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার সাংবাদিক এস এম ফজলে রাব্বি শুভর পিতা, ধুনট পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সোহরাব আলী মাষ্টার। গ্রামের বাড়ি মোহনপুরে গড়ে তুলেছেন বিশাল বাগান।
সরজমিনে তার বাগানে যেতেই সবুজের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবার নয়।
বাগানে লাগানো হয়েছে আম,লেবু,পেঁপে ও সবজি।মৌসুমি সব ফল ও সবজিতে শোভিত হয়ে আছে গোটা-বাগান।বাগানে ঝুলছে বিভিন্ন প্রকারের মৌসুমী ফল।ফলের পাশাপাশি আছে সবজির সমাহার।
বৃক্ষপ্রেমী স্কুল শিক্ষক সোহরাব আলী বলেন তার নিজ বাড়ীর আঙিনায় এই বাগানটি গড়ে তুলেছেন একান্তই ব্যক্তিগত উদ্যোগে।নেই বাণিজ্যিক চিন্তাধারা।বলতে গেলে বাগানটি তাঁর পরিবারের মতোই।নিজ পরিবারের সদস্যদের মতই করেন বাগানের যত্ন,পরিচর্যা আর রক্ষণাবেক্ষণ। নানা ব্যস্ততা শেষে যে সময়টুকু পান তখন তার আপন হয়ে ওঠে এই ভালোবাসার বাগান। ধুনট উপজেলার কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষক সোহরাব আলীর ফলের বাগান লোকমুখে ও তার অফিসের সহকারী অফিসারদের মুখে শুনেছেন, বাগানটি নাকি বেশ সুন্দর মনোরম হয়েছে - তবে নিজ চোখে দেখেন নি। মাষ্টার সাহেবও কখনো বলেনি। জানালে সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হবে এবং বাগানের ঐ এলাকায় কখনো গেলে নিজ দায়িত্বে দেখে আসবে।