MD JANNATIN NAEEM - (Dhaka)
প্রকাশ ২৭/১২/২০২১ ১১:০৬এ এম

Omicron: দৈনিক শনাক্ত লাখের বেশি : ওমিক্রন তাণ্ডবে ওলটপালট বিশ্ব

Omicron: দৈনিক শনাক্ত লাখের বেশি : ওমিক্রন তাণ্ডবে ওলটপালট বিশ্ব
ওমিক্রন তাণ্ডবে ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। মাস্ক পরা, ভ্যাকসিন পাস বহন, চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারিসহ সর্বাত্মক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েও সামাল দেয়া যাচ্ছে সংক্রমণের বিস্তার। নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ, কর্মী সংকট ও অসুস্থতার কারণে গতকাল বিশ্বজুড়ে আরো দেড়হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

বড়দিনের উৎসবের মধ্যেই গত রবিবার ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্তে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে লাখ লাখ পর্যটক। এ কয়েক দিন সব মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাতিল ফ্লাইটের অধিকাংশই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের। ওমিক্রন স্ট্রেইন বিস্তারে অনেক ক্রু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকেরই করোনা পজিটিভ। সংকটময় পরিস্থিতির পেছনে ওমিক্রনের ক্রমবর্ধমান বিস্তারকে দায়ী করছে বিমান কোম্পানিগুলো। যারা সংক্রমিত হয়েছেন তাদের হাল্কা কাশি ও জ্বরের উপসর্গ দেখা গেছে। ফ্লাইট অ্যাওয়্যার নামের একটি সংস্থার মতে, রবিবার শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৪ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

একই দিন লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের অর্ধশত ফ্লাইট বাতিল করে সংশ্লিষ্টরা। গত শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত বাতিল হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ ফ্লাইট। সংক্রমণ ঠেকাতে সেখানে নতুন নতুন বিধি জারি করা হচ্ছে। নতুন নিয়মে বক্সিং ডে-তে স্কটল্যান্ডে অভ্যন্তরীণ ইভেন্টে জমায়েত দাঁড়িয়ে একশ এবং বসা অবস্থায় দুইশ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

উন্মুক্ত স্থানে পাঁচশজনের বেশি থাকতে পারবে না। পাবলিক ইভেন্টে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যুক্তরাজ্যের ওয়েলেসেও একই সময়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। রেস্তোরাঁ, সিনেমা এবং বারগুলোতে এক সঙ্গে ছয়জনের বেশি লোক বসতে পারবে না। বাইরের কোনো অনুষ্ঠানে ৫০ জন এক সঙ্গে জড়ো হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ থাকবে নৈশক্লাব। একই বিধি প্রযোজ্য নর্দান আয়ারল্যান্ডেও।

এদিকে চার দিন আগে ফ্রান্সে যে সংক্রমণ ছিল দৈনিক ৯১ হাজার ৬০৮, সেটি লাখ ছাড়িয়েছে। এটি গত দুবছরে সর্বোচ্চ। ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রিটেন, তারপরই আছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, সে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ চার হাজার ৬১১ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করল ফ্রান্স।

ইতোমধ্যে সেখানে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার টিকার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সরকার থেকে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পাস তাদের দেয়া হচ্ছে যাদের দুটি টিকাই নেয়া হয়ে গিয়েছে। রেস্তোরাঁ, ক্যাফে বা বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই পাস থাকা বাধ্যতামূলক। দুটি টিকা নেয়া না থাকলে বহু জায়গাতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতো নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। স্যাভয় শহরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হয়েছে। অন্যান্য শহরও নিজেদের মতো করে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের ছবিটা আমূল বদলে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। করোনা

সংক্রমণের শুরু থেকে এখনো পর্যন্ত সে দেশে মারা গেছেন এক লাখ ২৩ হাজার মানুষ। ব্রিটেনে এক দিনে করোনা-আক্রান্তের গড় এক লাখ ১৯ হাজার। এ নিয়ে পর পর দুদিন দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ ছাড়াল। মহামারিতে ইউরোপে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৪৭ হাজার ৭২০ জন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত সংবাদ