আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রকাশ ২০/১২/২০২৪ ০৫:০৩পি এম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আর আমাদের মাঝে নেই। আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হৃদ্রোগে আকস্মিক মৃত্যু
ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হাসান আরিফ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে আনার পরই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ে তাঁর একান্ত সচিব মো. নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, বেলা ৩টা ১০ মিনিটে হাসান আরিফের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
কর্মময় জীবন
হাসান আরিফ ছিলেন একজন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। ১৯৭০ সাল থেকে আইন পেশায় যুক্ত থাকা এই প্রথিতযশা আইনজীবী ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুতে তাঁকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়। পরে তাঁর ওপর ভূমি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অর্পিত হয়।
কর্মজীবনের সূচনা ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা
১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিম বাংলার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কর্মজীবন শুরু করেন হাসান আরিফ। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন এবং হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন।
তাঁর কর্মজীবনের অংশ হিসেবে তিনি বহু প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং গ্রামীণফোন বাংলাদেশ।
ব্যক্তিগত জীবন ও সামাজিক দায়িত্ব
হাসান আরিফ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনজীবী হিসেবে তাঁর দক্ষতা এবং সমাজের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য তিনি সর্বমহলে প্রশংসিত ছিলেন।
জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি
হাসান আরিফের মৃত্যুতে জাতি এক অভিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান আইনজীবী এবং দক্ষ উপদেষ্টাকে হারাল। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহল।
পরিবার ও দেশের জন্য রেখে যাওয়া স্মৃতি তাঁর কর্মের মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকবে।